Jammu and Kashmir: সইদ শেহরিশ আসগর স্বীকার করেন, পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থা ফেরাতে হবে
শ্রীনগর: জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নতি হচ্ছে বলে মঙ্গলবার জানাল প্রশাসন। বুধবার, যে সমস্ত এলাকা থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে, সেই সমস্ত এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হবে বলে জানাল প্রশাসন। জম্মু ও কাশ্মীরের তথ্য ও জনসংযোগ দফতরের ডিরেক্টর সইদ শেহরিশ আসগর বলেন, “প্রতিদিনই কাশ্মীরের পরিস্থিতি ভাল হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ৩,০৩৭ প্রাইমারি এবং ৭৭৪টি মাধ্যমিক স্কুল খোলা হয়েছে, হাইস্কুলগুলিও খুলতে চলেছে। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এও জানান, প্রত্যেক এলাকায় দোকান খোলার জন্য ব্যবসায়ীদের অনুমতিও দেওয়া হয়েছে। আসগর জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে উপস্থিতির হার বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। তাঁর কথায়, “শিক্ষকদের উপস্থিতির হারও উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ছে”।
ভারতের সঙ্গে আকাশপথ পুরোপুরি বন্ধের কথা ভাবছেন ইমরান খান: পাক মন্ত্রী
তবে তিনি স্বীকার করে নেন, আদর্শ পরিস্থিতি থেকে এখনকার পরিস্থিতি অনেকটাই দূরে। তাঁর কথায়, “কেউই বলছে না যে সবকিছু স্বাভাবিক। এক্সচেঞ্জ বাড়ানো হয়েছে। প্রযুক্তিগত কাজ করছে বিএসএনএল, তাঁরা নিশ্চিত করবেন যাতে দুদিনের মধ্যে লাইন ঠিক হয়ে যায়”।
বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা বন্ধ থাকার কারণে, রাস্তা বন্ধ থাকার কারণে, সাধারণ মানুষকে সহজে ওষুধের দোকানেও যেতে দেওয়া হচ্ছে না, সেই খবর অস্বীকার করেন শ্রীনগরের পুলিশ সুপার হাসিব মুঘল। তিনি উল্লেখ করেন, গত কয়েকদিনে এলাকায় কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। তবে কয়েকটি পাথর ছোঁড়ার ঘটনা ঘটলেও তা জলদি সামাল দেওয়া গিয়েছে।
G7 Summit: “প্রধানমন্ত্রী মোদি সত্যিই মনে করেন এটা তাঁর নিয়ন্ত্রণে”: কাশ্মীর নিয়ে বললেন ট্রাম্প
আগের মাসে, জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা বা ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার এবং রাজ্যটিকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সময় “সতর্কতামূলক ব্যবস্থা” হিসেবে জম্মু ও কাশ্মীর পুরো বন্ধ রাখা হয়। পাশাপাশি ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রধান ওণর আবদু্ল্লা এবং পিপলস ডেমিক্র্যাটিক পার্টির প্রধান মেহবুবা মুফতিকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। তাঁদের এখনও ছাড়া হয়নি।
সইদ শেহরিশ আসগর বলেন, “যে সমস্ত এলাকায় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে, সেখানে দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হবে। সরকার জানে, স্কুল খোলা হলেও, পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার এখনও কম, তবে আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি। কিছু জায়গায় আমরা পরিবহন সংস্থাকে পরিষেবা দিতে বলেছি”।