Panchayat Bypolls: জম্মু ও কাশ্মীরে প্রায় ১৩,০০০ পঞ্চায়েত আসনে উপনির্বাচন হবে
হাইলাইটস
- আগামী মার্চ মাসে পঞ্চায়েতের উপনির্বাচন হতে চলেছে জম্মু ও কাশ্মীরে
- মোট ৮ দফায় প্রায় ১৩ হাজারের কাছাকাছি আসনে নির্বাচন হতে চলেছে
- ৫ অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীরকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার ঘোষণা হয়
শ্রীনগর: আগামী মার্চেই জম্মু ও কাশ্মীরে স্থানীয় নির্বাচন সম্পন্ন হবে বলে ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। উপত্যকার (Jammu and Kashmir) বিশেষ মর্যাদা রদের প্রায় ৭ মাস পর এই প্রথম সেখানে কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড হতে চলেছে। জানা গেছে, জম্মু ও কাশ্মীরে প্রায় ১৩,০০০ পঞ্চায়েত আসনের জন্য ওই নির্বাচন (Jammu And Kashmir Panchayat Bypolls) হবে। এর আগে গত ৫ অগাস্ট উপত্যকা থেকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা তুলে নিয়ে দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রধান নির্বাচনী আধিকারিক শালিন্দর কুমার জানিয়েছেন, "জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর হয়েছে"। আগামী মার্চে মোট ৮ দফায় পঞ্চায়েতের আসনগুলিতে উপনির্বাচন (Panchayat Bypolls) হবে।
এর আগে ২০১৮ সালে সেখানে শেষবারের মতো পঞ্চায়েত নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে সেখানকার দুটি বড় রাজনৈতিক দল পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (PDP) এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স নির্বাচনে অংশ নেয়নি। কাশ্মীরের জনতার অধিকাংশই ওই নির্বাচন বয়কট করেন এবং সব মিলিয়ে সেই সময় ১২,০০০ এরও বেশি পঞ্চায়েত আসন শূন্য থেকে যায়।
PSA আইনে ওমর আবদুল্লাকে বন্দি করার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে তাঁর বোন
এদিকে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা ফারুক আবদুল্লা, তাঁর ছেলে ওমর আবদুল্লা, এবং মেহবুবা মুফতিকে গত কয়েকমাস ধরেই বন্দি করে রাখা হয়েছে। সেই পরিস্থিতির মধ্যেই এবার ওই নির্বাচন হতে চলেছে।গত সপ্তাহেই, উপত্যকার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এবং ওমর আবদুল্লাকে জননিরাপত্তা আইনের আওতায় বন্দি রাখার কথা ঘোষণা করা হয়। ওই আইনের মাধ্যমে কোনও ব্যক্তি বিনা বিচারে কমপক্ষে তিন মাস পর্যন্ত বন্দি রাখা যায় এবং পরবর্তীতে একাধিক বার ওই বন্দি দশার মেয়াদ বাড়ানো যায়। গত ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে তাঁদের আটক করে রাখা হয়েছে।
Jammu And Kashmir: মেহবুবা মুফতিকে কড়া আইনে বন্দি রাখার কারণ ব্যাখ্যা করল কেন্দ্র
ওদিকে ওমর আবদুল্লার বাবা ফারুক আবদুল্লাকেও গত সেপ্টেম্বর থেকে জননিরাপত্তা আইনে বন্দি করা হয়েছিল এবং গত অগাস্ট থেকে তিনিও গৃহবন্দি রয়েছেন। ৮৩ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদকে ওই আইনের আওতায় "জনগণের মধ্যে শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার" অভিযোগ আনা হয়েছিল, যার অর্থ আপাতত তাঁকে আরও বেশ কয়েকমাস বন্দি করে রাখতে পারবে সরকার।