৫ অগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে ভারত (ফাইল ছবি রয়টার্স)
ব্রাসেলস: ইউরোপের সংসদের (European Parliament) একটি প্লেনারিতে বিতর্কসভায় কাশ্মীর (Kashmir issue) নিয়ে ভারতের পদক্ষেপকে সমর্থন করলেন ইউরোপের সাংসদ রিজার্ড কারনেকি এবং ফুলভিও মারতুসিলো, পাশাপাশি ভারতকে বৃহত্তম গণতন্ত্র বলে মন্তব্য করে সন্ত্রাসবাদকে প্রশয় দেওয়ার জন্য পাকিস্তানকে ( Pakistan) তোপ দাগলেন তাঁরা। মঙ্গলবার কাশ্মীর নিয়ে বিতর্কে, ইউরোপিয় সাংসদ, ইউরোপের কনজারভেটিভ এবং পোলান্ডের সংস্কারক কারনেকি ভারতকে “বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র” বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারতে রয়েছে। ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপের দিকে আমাদের লক্ষ্য করতে হবে। এই জঙ্গিরা চাঁদ থেকে নেমে আসেনি। তারা প্রতিবেশী দেশ থেকে এসেছে। আমাদের ভারতকে সমর্থন করা উচিত”।
মোদি-জিনপিং বৈঠকে কাশ্মীর আলোচনার "প্রধান বিষয়" হতে পারে না, বলল চিন
ইতালির ইউরোপিয়ান পিপলস পার্টি এবং ইউরোপিয়ান সংসদের সদস্য মারতুসিলো বলেন, পাকিস্তান পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিয়েছে, যা ইউরোপিয় ইউনিয়নগুলির কাছে উদ্বেগের। তাঁর কথায়, “পাকিস্তান এমন একটি জায়গায়, যেখানে ইউরোপে রক্তাক্ত জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা করতে পারে পাকিস্তান”।
ইউরোপিয়ান কমিশনের ভাইস-প্রেসিডেন্টের তরফে বিতর্কের সূচনা করে ফেডরিকা মোঘেরিনি, ইউরোপিয় ইউনিয়নের মন্ত্রী তিত্তি তুপ্পুরাইনেন বলেন, “কেউই কাশ্মীরে আর উত্তেজনা বাড়ানোর ঝুঁকি নেবে না”।
আলোচনার মাধ্যমে কাশ্মীর সমস্যা মিটিয়ে ফেলার জন্য ভারত ও পাকিস্তানকে আহ্বান জানান ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মন্ত্রী, নিয়্ন্ত্রণরেখার দুইপারের বাসিন্দাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তাঁদের স্বার্থে শান্তিপূর্ণ এবং রাজনৈতিক সমাধানের আর্জি জানান তিনি। তাঁর কথায়, “এলাকায় অস্থায়িত্ত্ব এবং নিরাপত্তাহীনতা দূর করতে এটাই দীর্ঘস্থায়ী পথ”। জম্মু ও কাশ্মীরে যোগাযোগের মাধ্যম বাড়ানোর ওপরেও জোর দেন তিনি।
পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের অংশ, একদিন এর নিয়ন্ত্রণ আশা করি, বললেন এস জয়শঙ্কর
৫ অগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা প্রত্যাহার করে ভারত।
কাশ্মীর ইস্যুকে আন্তর্জাতিকস্তরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে পাকিস্তান, যদিও ভারতের তরফে বলা হয়েছে, ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার একটি “অভ্যন্তরীণ বিষয়”। নয়াদিল্লির তরফে ইসলামাবাদকে বাস্তবতাকে মেনে নিতে এবং ভারত-বিরোধী মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরে কড়াকড়িকে সমর্থন করে ভারত জানিয়েছে, পাকিস্তানকে কোনওরকম দুষ্কর্ম এবং জঙ্গি কার্যকলাপ থেকে বিরত রাখতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।