অগস্ট থেকে আটক করে রাখা হয়েছে ওমর আবদুল্লাকে
নয়াদিল্লি: জম্মু ও কাশ্মীরের ( Jammu and Kashmir) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাকে (Omar Abdullah) জন সুরক্ষা আইনে (Public Safety Act) আটক করে রাখা হয়েছে, একটি নথিতে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, রাজ্যে “ব্যাপক জঙ্গি আধিপত্য এবং ভোট বয়কটের সময়েও ভোট পাওয়ার ক্ষমতা রাখতেন” তিনি। NDTV এর হাতে যে নথি এসেছে, সেখানে বলা হয়েছে ন্যাশনাল কনফারেন্সের সহ-সভাপতি “মৌলবাদী চিন্তাধারাকে সুবিধা দিতেন, যা তার কাজে আসত”, যদিও এই দাবির সপক্ষে কোনও প্রমাণ দেখানো যায়নি। নথিতে দাবি করা হয়েছে, যে কোনও কারণে মানুষকে প্রভাবিত করতে পারেন এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ভোট বয়কটের ডাকের মধ্যেও ভোটারদের বাইরে আনার ক্ষমতা রাখতেন।
সেখানে আরও বলা হয়েছে, “যে কোনও কারণে মানুষকে প্রভাবিত করতে পারার ক্ষমতাকে এইভাবে দেখা হচ্ছে যে, তিনি তাঁর ভোটারদের বাইরে বেরিয়ে এসে জঙ্গি এবং ভোট বয়কটের আবহেও ব্যাপক হারে ভোটদান করাতে পারতেন”।
২০১৯ এর ৫ অগস্ট থেকে সিআরপিসি ১০৭ ধারায় আটক রয়েছেন ওমর আবদুল্লা। এই আইনে, .২০২০ এর ৫ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ ৬ মাস পর তাঁর আটকের মেয়াদ শেষ হওয়ার ছিল।
তবে ৫ জানুয়ারি, ওমর আবদুল্লা এবং আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির বিরুদ্ধে জন সুরক্ষা আইন লাগু করে সরকার। কোনও বিচার ছাড়াই এই আইনে ৩ মাস আটক করে রাখা যাবে তাঁদের এবং তা এক বছর পর্যন্তও বাড়ানো হতে পারে।
ওমর আবদুল্লার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ আনা হয়েছে, ৩৭০ ধারা অবলুপ্তি নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের তাঁর বিরোধিতা এবং “ট্যুইটারে দেশের একতা ও অখণ্ডার বিরুদ্ধে মানুষকে প্ররোচনা করার”। যদিও এই অভিযোগের সমর্থনে কোনও ট্যুইটার দেওয়া হয়নি প্রমাণ হিসেবে।
হাস্যকরভাবে, ২০১৯ এর ৫ অগস্ট গ্রেফতারের আগে শান্তিরক্ষার আহ্বান জানিয়ে শেষবার ট্যুইট করেছিলেন ওমর আবদুল্লা।
নথিতে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনার বিরুদ্ধে ঢাল হিসেবে রাজনীতিকে ব্যবহার করেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
সেখানে বলা হয়েছে, “যদিও তিনি একজন মূলধারার রাজনীতিবিদ, রাজনীতির ছত্রছায়ায় থেকে তিনি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পদক্ষেপের পরিকল্পনা করেছিলেন। সাধারণ মানুষের সমর্থন ছিল তাঁর দিকে এবং বিভিন্ন পদক্ষেপে তিনি সফলও হয়েছিলেন”
নথিতে বলা হয়েছে, ওমর আবদুল্লা ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির পর, “নিজের আবরণ উন্মোচন করে ফেলেন এবং নোংরা রাজনীতি ও মৌলবাদী পদ্ধতি নেন”।
সেখানে আরও বলা হয়েছে, “৩৭০ ধারা ও ৩৫এ প্রত্যাহারের পর, সাধারণ মানুষের সমর্থন নিশ্চিত করতে, সমস্ত আবরণ উন্মোচন করেন এবং মৌলবাদী পদ্ধতিতে নোংরা রাজনীতির পক্ষ নেন কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে প্ররোচিত করেন”।