গত সপ্তাহে লোকসভায় বিলটি অনুমোদন করেন রাষ্ট্রপতি (ফাইল ছবি)
নয়া দিল্লি: আগামী ৩১ অক্টোবর সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ১৪৪ তম জন্মবার্ষিকীতে (144th birth anniversary of Sardar Vallabhbhai Patel) নতুন দু-টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল (two new Union territories) হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ (Kashmir and Ladakh)। সংসদে পাস হওয়া জম্মু ও কাশ্মীরকে দুটি রাজ্যে পৃথকীকরণের বিল ইতিমধ্যেই শনিবার অনুমোদন করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (President Ram Nath Kovind)। গত সপ্তাহে লোকসভায় বিলটি পাসের পর রাষ্ট্রপতির কাছে সেটিকে পাঠানো হয়েছিল। বিরোধী কয়েকটি দল এর বিরোধিতা করলেও বাকিরা সমর্থন জানিয়েছিল সরকারকে। যদিও রাজ্যসভায় বিলটি পাস হয়ে গেছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে আধিকারিকদের বিভক্ত করতে প্যানেল গঠন
বিল নিয়ে সংসদে বিতর্ক চলাকালীন জওহরলাল নেহেরু এবং সর্দার প্যাটেলের নাম উল্লেখ করেছিলেন বিলের স্বপক্ষে থাকা সংসদের প্রতিনিধিরা। তাঁদের দাবি, সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদের ইতি চেয়েছিলেন এই দুই ব্যক্তিত্বও। প্রসঙ্গত, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গত সপ্তাহে সংসদে ঘোষণা করেন, অনুচ্ছেদ ৩৭০ ধারা রদ করে জম্মু ও কাশ্মীরকে পৃথক রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হবে। এবং কংগ্রেসের তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও অমিত রাষ্ট্রপতির সমর্থনে রাজ্য বিভক্তিকরণের ঘোষণা করেন।
এই ঘোষণার আগে দেশে এবং উপত্যকায় যাতে কোনও অশান্তি বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে না পারে তার জন্য প্রচুর আধাসামরিক বাহিনি মোতায়েন করে কেন্দ্র। এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার একদিন আগে গৃহবন্দী করা হয় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতি (former Chief Ministers Omar Abdullah and Mehbooba Mufti) সহ একাধিক নেতাকে।
পাশাপাশি, এই পদক্ষেপের পরে রাজ্য সরকার অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। উপত্যকায় সাময়িক মোবাইল ও নেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল। নিষিদ্ধ করা হয়েছিল সমাবেশ। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়নি বলে বিরোধিতা করে প্রতিবাদ জানিয়েছিল কংগ্রেস সহ মুষ্টিমেয় কিছু দল যেমন, সমাজবাদী পার্টি, ডিএমকে, জাতীয় জনতা দল এবং বাম দল।
জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে ‘জশন-ই-আজাদি' উদযাপন করবে বিজেপি
বৃহস্পতিবার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে বলেন, জম্মু ও কাশ্মীর দীর্ঘদিনের জন্য কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে থাকবে না। একইসঙ্গে তাঁর আশ্বাস, রাজ্যের পরিস্থিতি শীঘ্রই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।