জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) অক্টোবরে শিল্প সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল, যদিও বৃহস্পতিবার সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, সেই শিল্প সম্মেলন বাতিল করা হয়েছে। আগের মাসে, বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা প্রত্যাহার করে সরকার জানায়, সেখানে প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন করা হবে। সরকারের তরফে বলা হয়, ৩৫A ধারার কারণে, কাশ্মীরে জমি কিনতে পারতেন না বহিরাগতরা, সেটি প্রত্যাহার করার ফলে সেখানে বিনিয়োগের দরজা খুলে যাবে। সেই পদক্ষেপের প্রায় একমাস পর, জম্মু ও কাশ্মীরে এখনও অপ্রত্যাশিতভাবে নিরাপত্তার কড়াকড়ি চলছে এবং সেখানকার বেশ কিছু এলাকায় বাসিন্দাদের ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে, পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ বেশকিছু জায়গায়।
“পাকিস্তানের স্বাভাবিক আচরণ করা উচিত,জঙ্গিদের মদত দেওয়া নয়, প্রতিক্রিয়া কেন্দ্র
সরকারের মত অনুযায়ী, অশান্তি এড়াতে শতাধিক রাজনৈতিক কর্মী এবং মূলস্ব্রোতের বহু নেতাকে আটক করে রাখা হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরে শিল্প ও বাণিজ্য দফতরের প্রধান সচিব এনকে চৌধুরী, আত্মবিশ্বাসী ছিলেন, একমাসের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আমি যদি এটা বিশ্বাস না করতাম, তাহলে দিন ঘোষণা করতাম না”।
১২ অক্টোবর থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত, শ্রীনগরে এই সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল এবং আটটির বেশী দেশ অংশগ্রহণ করবে বলে আশাবাদী ছিলেন আধিকারিকরা।
"বেশি দিন থাকলে বেশি ভোট পাবেন": গ্রেফতার হওয়া নেতাদের প্রসঙ্গে রাজ্যপাল
জম্মু ও কাশ্মীরের স্বশাসন প্রত্যাহার করে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্যটিকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করে। তারমধ্যে রয়েছে, একটি বিধানসভাযুক্ত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর, এবং বিধানসভা বিহীন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখ।
জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা প্রত্যাহার করার ফলে, সেখানকার বাসিন্দারা, সম্পত্তি, সরকারি চাকরি এবং কলেজের আসনের ক্ষেত্রে, যে একমাত্র অধিকারি ছিলেন, তা আর থাকবেন না, বরং সেগুলি সারা দেশের জন্য হয়ে যাবে।
সরকারি চাকরি বুধবার সুপ্রিম কোর্ট জানায়, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে জম্মু ও কাশ্মীরে পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ করে যে মামলা করা হয়েছে, সেটির শুনানি হবে। এলাকার উন্নয়নের জন্যই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানায় কেন্দ্রীয় সরকার, সেটিকে চ্যালেঞ্জ করে এক়জনেরও বেশী মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।
“কাশ্মীর সম্পর্কে আপনাদের অবস্থান ভুল ছিল, রাহুল গান্ধি”, মন্তব্য বিজেপির
৫ অগস্ট থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে ইন্টারনেট ও টেলিফোন পরিষেবা বন্ধ, তা নিয়ে মামলা দায়ের করেন ডেইলি কাশ্মীর টাইমসের এডিটর অনুরাধা বাসিন। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে সাতদিনের মধ্যে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
গত সপ্তাহে কয়েক জায়গায় ল্যান্ডলাইন টেলিফোন পরিষেবা চালু করা হয়। সরকারের তরফে বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে নিষেধাজ্ঞা জরুরি, এই পরিস্থিতি নিয়ে সেখানকার বাসিন্দারা হতাশ এবং ক্ষুব্ধ।