This Article is From Oct 28, 2019

জম্মু ও কাশ্মীরের সোপোরে গ্রেনেড হামলায় আহত ১৫ জন নাগরিক

৫ অগস্ট রাষ্ট্রপতির ঘোষণার মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা (Article 370) প্রত্যাহার করার পর থেকেই, সেখানে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।

Grenade Attack in Sopore: ব্যস্ত এলাকায় একটি বাসস্টপকে টার্গেট করে জঙ্গিরা (প্রতীকি ছবি)

সোপোর:

জম্মু ও কাশ্মীরের সোপোরে (Jammu and Kashmir's Sopore) সোমবার জঙ্গিদের গ্রেনেডে হামলায় (Grenade Attack) ১৫ জন সাধারণ নাগরিক আহত হয়েছেন বলে জানাল পুলিশ। দুদিন আগেই শ্রীনগরের কারান্নগর এলাকায় একই ধরণের হামলায় আহত হন ৬ জন নিরাপত্তাকর্মী। ৫ অগস্ট রাষ্ট্রপতির ঘোষণার মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বা ৩৭০ ধারা (Article 370) প্রত্যাহার করার পর থেকেই, সেখানে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। সেখানে নিষেধাজ্ঞাগুলি ধীরে ধীরে তোলার পথে প্রশাসন, সেই পরিস্থিতিতেই এই হামলা।  ৩১ অক্টোবর জম্মু ও কাশ্মীরকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, লাদাখ এবং জম্মু ও কাশ্মীর করা হবে আনুষ্ঠানিকভাবে, এই মধ্যবর্তী সময়ে জঙ্গি হানার আশঙ্কা করছেন নিরাপত্তাকর্মীরা।

এর আগে একটি চেকোপোস্টে গাড়ি পরীক্ষা করার সময়, নিরাপত্তারক্ষীদের ওপর গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিরা। চলতি মাসের গোড়ার দিকে, শ্রীনগরের একটি ব্যস্ত বাজারে গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিরা, তাতে অন্তত ৭ জন আহত হন।  

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জারি করা একটি রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ২০১৮-এ জম্মু ও কাশ্মীরে ঢোকার জন্য ৩২৮ বার চেষ্টা চালিয়েছে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলি, তারমধ্যে ১৪৩টি সফল পদক্ষেপ। সেখানে আরও বলা হয়েছে, গত বছর জম্মু ও কাশ্মীরে মৃত্যু হয়েছে ২৫৭ জন জঙ্গি এবং ৯১জন নিরাপত্তাকর্মীর, এই পরিসংখ্যান গত পাঁচ বছরের সবচেয়ে বেশী।

কাশ্মীর পরিস্থিতি দেখতে ইউরোপীয় প্রতিনিধি দল, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রিপোর্টে বলা হয়েছে, “সন্ত্রাসবাদী এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সন্ত্রাসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর, প্রায় আড়াই দশক ধরে সীমান্তপার থেকে তাদের সমর্থন দেওয়া হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরে সেনা নামানোর (১৯৯০) পর থেকে, ৩১ মার্চ ২০১৯ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ১৪,০২৪ জন নাগরিক এবং ৫,২৭৩জন নিরাপত্তাবাহিনীর কর্মী”।

.