Public Safety Act: ৫ অগাস্ট থেকে গৃহবন্দি করে রাখা হয় ওমর আবদুল্লাকে, সম্প্রতি তাঁর উপর লাগু হয়েছে পিএসএ আইনও
হাইলাইটস
- ওমর আবদুল্লাকে পিএসএ আইনে বন্দি করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব তাঁর বোন
- এই আইনের বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি
- ওমর আবদুল্লাকে মুক্তি দেওয়া হোক, আবেদন তাঁর
নয়া দিল্লি: জন নিরাপত্তা আইনে (Public Safety Act) ওমর আবদুল্লাকে বন্দি করার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন তাঁর (Omar Abdullah) বোন সারা আবদুল্লা পাইলট । অবিলম্বে জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে মুক্তি দেওয়া হোক, শীর্ষ আদালতে আবেদন করলেন তিনি। ৫ অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদ করে সেখানকার বিশেষ রাজ্যের সুবিধা প্রত্যাহার করে কেন্দ্রীয় সরকার। আর তখন থেকেই ওমর আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতি সহ জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতাদের গৃহবন্দি করে রাখা হয়। সম্প্রতি তাঁদের উপর পিএসএ অর্থাৎ জন নিরাপত্তা আইনটিও চাপিয়ে দেওয়া হয়।
সারা আবদুল্লাহ পাইলট অভিযোগ করেছেন যে, তাঁর দাদাকে এইভাবে গ্রেফতার করায় আসলে বাক স্বাধীনতার সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। এই ধরণের পদক্ষেপ আসলে "সমস্ত রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের দমিয়ে রাখার লক্ষ্যে ধারাবাহিক ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার অংশ", একথাও বলেন তিনি।
৪৯ বছর বয়সী ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতার বিরুদ্ধে একটি ডসিয়ারে যে কারণ দেখিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার তার বিরুদ্ধেই উপত্যকায় ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
Jammu And Kashmir: মেহবুবা মুফতিকে কড়া আইনে বন্দি রাখার কারণ ব্যাখ্যা করল কেন্দ্র
NDTV-এর হাতে এসেছে ওই ডসিয়ার যার মাধ্যমে জানা যাচ্ছে যে, কেন্দ্রীয় সরকার ওই ডসিয়ারে আসলে ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতার বিরুদ্ধে "জঙ্গিবাদ এবং ভোট বয়কট চলাকালীনও সমর্থন সংগ্রহের চেষ্টা" অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ওই ডসিয়ারে আরও বলা হয়েছে যে, ওমর আবদুল্লা যে কোনও সময়েই কাশ্মীরের লোকজনকে প্রভাবিত করতে পারেন এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বর্জনের আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে ভোটারদের ঘর থেকে বাইরে বের করে আনার বিষয়ে তাঁর সক্ষমতার কথাও উল্লেখ করা রয়েছে সেখানে। "যে কোনও সময়ে লোকজনকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রয়েছে তাঁর। কেননা যেভাবে এর আগে জঙ্গিবাদের কারণে ভোট বয়কটের সময়েও তিনি ভোটারদের ঘরের বাইরে বের করে এনে বিপুল সংখ্যক ভোট দিতে উৎসাহিত করতে পেরেছিলেন তাতে বোঝা যায় যে তিনি মানুষকে যে কোনও বিষয়ে প্রভাবিত করতে সক্ষম", বলা হয়েছে ডসিয়ারে।
পাশাপাশি কেন্দ্রের অভিযোগ আবদুল্লা "উগ্র চিন্তাভাবনা বা জঙ্গিবাদের পক্ষে, যা তিনি তাঁর কাজের মাধ্যমে প্রকাশিতও করেছেন", তবে কেন্দ্রের এই দাবির পিছনে কোনও প্রমাণ দেওয়া হয়নি সরকারি তরফে।
সন্ত্রাসবাদের আধিপত্যের সময়েও ভোট মিলেছে ওমর আবদুল্লার, আনা হল অভিযোগ
৫ ফেব্রুয়ারি সরকার ওমর আবদুল্লা ও জম্মু ও কাশ্মীরের আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির বিরুদ্ধে জননিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করে। এই আইনের সাহায্যে সরকার বিনা বিচারে তাঁদের কমপক্ষে আরও ৩ মাস এবং সর্বাপেক্ষা এক বছর পর্যন্ত বন্দি করে রাখতে পারে।
ওমর আবদুল্লাকে জন নিরাপত্তা আইনে বন্দি করার পক্ষে যুক্তি দিয়ে সরকার কাশ্মীরের জনগণের মধ্যে ওমারের জনপ্রিয়তার কথা তুলে ধরেছে। কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে: "উনি একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব এবং যে কোনও ভাবে সাধারণ মানুষকে উস্কে দেওয়ার শক্তি রাখেন তিনি, এবং তাঁর এই ধরণের কাজ করার প্রচণ্ড সম্ভাবনা রয়েছে"।