দক্ষিণ কাশ্মীরের শোপিয়ান জেলা থেকে যে পুলিশ কনস্টেবলকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিল জঙ্গিরা
হাইলাইটস
- বৃহস্পতিবার উদ্ধার করা হল তাঁর মৃতদেহ
- পুলিশ কনস্টেবলকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিল জঙ্গিরা
- পুলিশকর্মীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটল জম্মু ও কাশ্মীরে
শ্রীনগর: আবার এক পুলিশকর্মীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটল জম্মু ও কাশ্মীরে। দক্ষিণ কাশ্মীরের শোপিয়ান জেলা থেকে যে পুলিশ কনস্টেবলকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিল জঙ্গিরা, বৃহস্পতিবার উদ্ধার করা হল তাঁর মৃতদেহ। গুলিতে ঝাঁঝরা হওয়া তাঁর দেহ গতকাল সকালে উদ্ধার করা হয় শোপিয়ান জেলার দঙ্গম থেকে।
জাভেদ আহমেদ দার নামের ওই কনস্টেবলের বাড়িতে এসে সেখান থেকে তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। তাঁর বাড়ি কাশ্মীরের কাচদুরা গ্রামে। যে গ্রামে গত এপ্রিল মাসে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াইয়ে পাঁচজন জঙ্গির মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানিয়েছিল, ওই কনস্টেবলের খোঁজ পাওয়ার জন্য গোটা অঞ্চলে নিরাপত্তাবাহিনী প্রবল তল্লাশি চালিয়েছিল।
ইদ উপলক্ষে কেন্দ্রীয় সরকারের নেওয়া শান্তি পদক্ষেপের কারণে জম্মু ও কাশ্মীরের সন্ত্রাস-বিরোধী কার্যকলাপ স্থগিত রাখতে হয়েছিল ভারতের নিরাপত্তাবাহিনীকে।
নিরাপত্তাবাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারতের পক্ষ থেকে নেওয়া এই শান্তি পদক্ষেপ ওপার থেকে কোনও সহযোগিতাই পায়নি। বহু জঙ্গি এই সময়টাতেই সীমান্ত পেরিয়ে এপারে এসেছে। শুধু তাই নয়, ঘটিয়েছে একের পর এক নাশকতা। মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজন মানুষের।
গোটা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হয় ওই সময়ে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির দলের মাথা থেকেও হাত সরিয়ে নেয় বিজেপি। সরকার ভেঙে যায়। আইনশৃঙ্খলার অবনতি এই জোট ভেঙে যাওয়ার অন্যতম কারণ।
ঔরঙ্গজেব নামের এক সেনার হত্যার ঘটনা নিয়েও সরব হয় বিজেপি। কাশ্মীরের পুলবামা জেলা থেকে অপহরণ করা হয় তাঁকে। ইদের ছুটি কাটাতে যাচ্ছিলেন তিনি। ওই সময়েই অপহরণ করে তাঁর মাথায় ও ঘাড়ে গুলি করা হয় বলে জানিয়েছিল পুলিশ। গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যাওয়া ঔরঙ্গজেবের দেহটি উদ্ধার করা হয় কয়েকদিন পরে।