স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কাশ্মীরের ১৯৬টি থানা এলাকা থেকে নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কিত নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে (ফাইল ছবি)
নয়াদিল্লি: জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) এখন আর কোনও কড়াকড়ি নেই এবং রবিবার দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, পরিস্থিতি নিয়ে “ভুল তথ্য” ছড়াচ্ছে বিরোধীরা। তিনি আরও বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা (Article 370) বা সেখানকার বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার এবং রাজ্যটিকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা সরকারের পদক্ষেপকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে গ্রহণ করেছে আন্তর্জাতিক মহল। বিরোধীদের বিরুদ্ধে, ভুল তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ তুলে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কাশ্মীরের ১৯৬টি থানা এলাকা থেকে নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কিত নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বলেন, মাত্র ৯টি থানায়, শুধুমাত্র বৃহত জমায়েতের মতো নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। রবিবার বিকেলে জাতীয় নিরাপত্তা সম্পর্কিত একটি সেমিনারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “কোথায় কড়াকড়ি রয়েছে, এটা শুধু আপনাদের মনে। কোনও কড়াকড়ি নেই। কড়াকড়ি নিয়ে শুধু ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে”।
অমিত শাহ বলেন, “কাশ্মীরে মানুষ যেখানে খুশি যেতে পারেন। ভারতের যে কোনও জায়গার সাংবাদিক নিয়মিতভাবে কাশ্মীরে যেতে পারেন”।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় যাওয়া নিয়ে অমিত শাহ বলেন, ৩৭০ ধারা নিয়ে ভারতের পদক্ষেপকে সমর্থন জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক নেতারা। তাঁকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, “বিশ্বের সমস্ত নেতারা সাতদিন একত্রিত হয়েছিলেন (নিউইয়র্কে)। কোনও নেতা, বিষয়টি তোলেননি (জম্মু ও কাশ্মীর)। এটা প্রধানমন্ত্রীর কূটনৈতিক ক্ষেত্রে বড় জয়”।
জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক বলে মন্তব্য করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ভারতের একতা ও অখণ্ডতাকে আরও শক্তিশালী করবে”।
অগস্টে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা প্রত্যাহার এবং রাজ্যটিকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে সরকার—তারপরেই একাধিক পদক্ষেপ করা হয়, তারমধ্যে রয়েছে---ব্যাপক পরিমাণে নিরাপত্তাবাহিনী মোতায়েন করা, ফোন পরিষেবা এবং ইন্টারনেট বন্ধ রাখা এবং রাজ্যের রাজনৈতিক নেতাদের বন্দি করে রাখা।
বিষয়টিকে বারবার আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরেছে পাকিস্তান, তবে কোনও সাফল্য পায়নি।