সহকর্মীকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন শ্রীনগরের এসএসপি
শ্রীনগর: কে বলেছে পুলিশের অনুভূতি নেই! জওয়ানরা নাকি কঠোর হৃদয়ের? তাঁদের চোখে নাকি জল আসে না? পরিবেশ-পরিস্থিতি যে তাঁদের মতো শক্ত মানুষদের চোখেও জল আনতে পারে তার সাক্ষী হয়ে রইলেন শ্রীনগরের এসএসপি হাসিব মুঘল (SSP Hasib Mughal)। অনন্তনাগে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের সময় নিহত হন তাঁরই সহকর্মী ইন্সপেক্টর আর্শাদ খান (Arshad Khan)। তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা (Homage) জানাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন (Breaks Down) প্রশাসনের এই উত্তপদস্থ অফিসার। তাঁর কোলে তখন শহিদ আর্শাদের চার বছরের একরত্তি ছেলে।
শ্রীনগর প্রশাসনের জেলা সদর দফতরে তখন সদ্য এসে পৌঁছেছে তেরঙায় মোড়া আর্শাদের কফিনবন্দি দেহ। সেখানেই বাকি সহকর্মীদের সঙ্গে তাঁকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে যান হাসিব। শেষ বিদায় জানিয়ে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি এই অফিসার। তখনই লেন্সবন্দি হয় হাসিবের সেই স্বাভাবিক মানবিক অনুভূতিকে। যা সেই মুহূর্তে পুলিশের উর্দি ছাপিয়ে বেরিয়ে পড়েছিল আচমকাই।
লোকসভায় অধীর চৌধুরীই কংগ্রেসের নেতা, শেষ মুহূর্তের কৌশলী বৈঠকে ঘোষণা
প্রসঙ্গত, অনন্তনাগে সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন আর্শাদ খান আর্শাদ খান। চিকিতসার জন্য তাঁকে এইমসে ভর্তি করা হলে গতকাল সকালে মৃত্যু হয় তাঁর।
আর্শাদ খানের ছেলে শ্রীনগরের এসএসপি হাসিব মুঘলের কোলে
সিআরপিফিএফ জওয়ানদের ওপর হামলা চালানো দুই জঙ্গিদের মধ্যে একজনকে খতম করে জওয়ানরা।
সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে শহিদ ভারতীয় জওয়ান, নিহত জঙ্গি; রয়েছে পুলওয়ামা যোগসূত্র
মৃত ওসি আর্শাদ খানকে অনন্তনাগ সদর থানায় স্টেশন হাউস অফিসার (এসএইচও) হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। স্ত্রী, দুই ছেলে, বাবা-মা এবং এক ভাই রয়েছে তাঁর। শ্রীনগরের বাসিন্দা আর্শাদ প্রশাসনে যোগ দেন ২০০২ সালে।