পুলওয়ামায় বিস্ফোরণ: শহিদ হয়েছেন অন্তত ১৮ জন জওয়ান
শ্রীনগর:
সিআরএফ জওয়ানদের বাসে বিস্ফোরক বোঝাই বাসের ধাক্কায় শহিদ হলেন ১৮ জন সিআরপিএফ জওয়ান। আহত হয়েছেন অন্তত ৪০ জন।প্রায় ২৫০০ জওয়ান কড়া নিরাপত্তা বলয়ে ঘেরা অবন্তীপুরা এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল।হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ ই মহম্মদ।২০১৬ সালে উরি হামসায় শহিদ হয়েছিলেন ১৯ জন জওয়ান, তারপর থেকে এটি সবচেয়ে ব় হামলা।
পড়ুন ১০ টি তথ্য
আদিল আহমেদ নামে এক আততায়ীকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ।তার বাড়ি পুলওয়ামার কাকাপুরায় বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।২০১৮ সালে সে জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই মহম্মদে যোগ দেয় আদিল আহমেদ।
বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা।বিস্ফোরণের পর বাসটি ধাতু ভস্মের স্তুপে পরিণত হয়।অন্যান্য গাড়িগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জওয়ানদের শরীরের ছিন্নভিন্ন অংশ এবং ধ্বংশাবশেষ ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে, তার সঙ্গে মিশে যায় বরফ।
.
বাসে লেগে থাকা গুলির চিহ্নে স্পষ্ট, লুকিয়ে রয়েছে জঙ্গিরা।তারা বাসের ওপর গুলি চালিয়ে থাকতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।
সিআরপিএফের এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, “এটা একটি জঙ্গি হামলা, আমরা এর কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।যানবহনের মাধ্যমে হামলা চালানো হয়েছে বলে আমাদের মনে হয়”।
নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকা একটি এলাকায় জঙ্গিরা কীভাবে বিস্ফোরক নিয়ে ঢুকল তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সিআরপিএফের তরফে জানানো হয়, “এটি তদন্ত সাপেক্ষ”।
ঘটনার নিন্দা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী সুভাষ ভামরে। “ঘটনায় যারা জড়িত তাদের কাউকে রেয়াত করা হবে না” বলে জানান তিনি।
২০১৬ এর সেপ্টেম্বরে উরি হামলার পর থেকে এটিই সবচেয়ে বড় হামলা।সেবার উরিতে হামলায় শহিদ হন ১৯ জন জওয়ান।এরপরেই সীমান্ত পেরিয়ে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে ভারতীয় সেনা, শত্রুপক্ষের বেশ কয়েকটি ছাউনি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয়মন্ত্রী ভিকে সিং ট্যুইটে লেখেন, “একজন সৈনিক এবং ভারতীয় হিসাবে, এই ধরণের কাপুরুষোচিত হামলায় আমার রক্ত গরম হয়ে যায়।দেশের ১৮ জন বীর সৈনিক তাঁদের জীবন উৎসর্গ করলেন।আমি তাঁদের আত্মবলিদানকে স্যালুট জানাই, এবং প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আমাদের সৈনিকদের প্রতিটি রক্তবিন্দুর শোধ নেওয়া হবে।
হামলার নিন্দা করেছেন রাজনীতিবিদরা।ট্যুইট করে মেহবুবা মুফতি লেখেন, “এই ধরণের জঙ্গি হামলার নিন্দা করার কোনও ভাষা নেই।এই পাগলপন্থা শেষ হতে আর কতজনকে জীবন দিতে হবে”।
Post a comment