দক্ষিণ কোরিয়ার ইঞ্চেয়ন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট। প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী অত্যন্ত ব্যস্ত এই এয়ারপোর্ট দিয়ে যাতায়াত করেন। তত্ত্বাবধায়করা প্রতি মিনিটে মিনিটে এয়ারপোর্টটিকে ঝাঁ-চকচকে করে তুলতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখেন না। সেইরকমই এক তত্ত্বাবধায়ক গত ছাব্বিশে এপ্রিল কাজ করতে করতে এয়ারপোর্টের ডাস্টবিন থেকে পেয়ে গেলেন সোনা! কাগজে মোড়া ছিল। প্রথমে বুঝতে পারেননি। সন্দেহ হতে মোড়কটি খুলে ফেলতেই চমক! এ শুধু সামান্য দুল বা হার নয়। একদম শক্তপোক্ত সোনার বাঁট। সাতখানা। একই মাপের, একই ওজনের। প্রতিটি বাঁটের ওজন এক কেজি। সব মিলিয়ে কোরিয়ান মুদ্রায় বাজারে যার মূল্য ৩৫০ মিলিয়ন ওয়ান। ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য প্রায় ২ কোটি টাকার কাছাকাছি।
হারিয়ে যাওয়া বস্তু নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়াতে একটি আইন আছে। তা হল- যে ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট বস্তুটির খোঁজ পাবে, সে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার পর আদালতে গিয়ে বস্তুটির মোট মূল্যের ৫ থেকে ২০ শতাংশ অবধি অর্থের দাবি জানাতে পারে। সে ঠিক কতটা অর্থ পাবে, সেই সিদ্ধান্ত নেবে আদালত। এটুকু পড়েই যাঁরা ভাবছেন যে, ডাস্টবিন পরিষ্কার করতে গিয়ে এই সোনা পেয়ে ওই নিম্নবিত্ত মানুষটির একটা দারুণ হিল্লে হয়ে গেল, তাঁদের জন্য রইল আরও একটি তথ্য- যদি প্রমাণিত হয় যে, কোনও অসাধু কার্যকলাপের সঙ্গে এই সোনার বাঁটগুলোর সম্পর্ক রয়েছে কোনওভাবে, তবে, ওই মানুষটি ৭০ মিলিয়ন ওয়ান পর্যন্ত অর্থ দাবি করতে পারেন।
২৬শে এপ্রিলের পর কেটে গিয়েছে আরও এক সপ্তাহ। এখনও পর্যন্ত একজনও ওই সোনার বাঁটগুলো নিজের বলে দাবি করেনি। পুলিশের সন্দেহ, কোনও অসাধু ব্যক্তি এয়ারপোর্ট দিয়ে যাওয়ার সময় ভয়ে অথবা অন্য কারণে ডাস্টবিনে সোনার বাঁটগুলো ফেলে গিয়েছে।
২৬শে এপ্রিলের পর কেটে গিয়েছে আরও এক সপ্তাহ। এখনও পর্যন্ত একজনও ওই সোনার বাঁটগুলো নিজের বলে দাবি করেনি। পুলিশের সন্দেহ, কোনও অসাধু ব্যক্তি এয়ারপোর্ট দিয়ে যাওয়ার সময় ভয়ে অথবা অন্য কারণে ডাস্টবিনে সোনার বাঁটগুলো ফেলে গিয়েছে।
Advertisement
COMMENTS
Advertisement