অমিত শাহ বলেন, “৩৭০ ধারা প্রত্যাহারে রাজনীতি দেখছে কংগ্রেস, আমরা এভাবে দেখি না”
মুম্বই: নেহেরুকে দায়ী করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah), পাশাপাশি বললেন, ১৯৪৭-এ “অসময়ে যুদ্ধবিরতি”র জন্য এটা হয়েছ। তিনি বলেন, কাশ্মীরের “গঠনহীনতার” জন্য দায়ী জওহরলাল নেহেরু (Jawaharlal Nehru) এবং সমস্যাটি সমাধান করতে পারতেন, দেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল। আগামীমাসে মহারাষ্ট্রে বিধানসভা, সেখানেই একথা বলেন অমিত শাহ। সংবিধানের ৩৭০ ধারা নিয়ে একটি অনুষ্ঠানে অমিত শাহ বলেন, “পাকিস্তানের সঙ্গে যদি নেহেরু অসময়ে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা না করতেন, তাহলে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের অস্তিত্ত্ব থাকত না...নেহেরু সামলানোর থেকে, কাশ্মীর সামলাতে পারতেন সর্দার প্যাটেল...রাজাদের অধীনে থাকা রাজ্যগুলি সামলেছেন সর্দার প্যাটেল এবং সেগুলি ভারতের অংশ হয়েছে”।
"কংগ্রেস রাজনীতি দেখছে, আমরা দেশপ্রেম দেখছি": কাশ্মীর প্রসঙ্গে অমিত শাহ
অগস্টে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা বা ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে ভারত, পাশাপাশি রাজ্যটিকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয়। তারপর থেকেই সেখানে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়, এবং কোনওরকম ঘটনা এড়াতে রাজনৈতিক নেতাদের গৃহবন্দি করে রাখা হয়, এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিরোধীরা। বিষয়টিকে রাষ্ট্রসংঘসহ আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে পাকিস্তান, বিদেশেও কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা হয়।
সংবিধানের ৩৭০ ধারা নিয়ে বিজেপির অবস্থান ব্যাখা করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “৩৭০ ধারা প্রত্যাহারে রাজনীতি দেখছে কংগ্রেস, আমরা এভাবে দেখি না...আমাদের কাছে, এটা জাতীয়তাবাদের বিষয়”। তিনি বলেন, “এক দেশ, এক প্রধানমন্ত্রী, এক সংবিধান” নীতিতে বিশ্বাস করে তাঁর দল।
‘‘পাকিস্তান নীচু হোক, আমরা উঁচুতে উড়ব'': রাষ্ট্রসঙ্ঘের অধিবেশনের আগে ভারত
অমিত শাহ বলেন, জওহরলাল নেহেরু জম্মু ও কাশ্মীরে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছিলেন, এবং তার পর থেকেই উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদ বাড়তে থাকে। তাঁর কথায়, “৪০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে, এবং কাশ্মীরী পণ্ডিত, সুফি, এবং শিখদের, ১৯৯০ থেকে ২০০০ –এই ১০ বছরে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে”।
অমিত শাহ বলেন, “রাহুল গান্ধি বলেন, ৩৭০ ধারা একটি রাজনৈতিক ইস্যু। রাহুল বাবা, আপনি এখন রাজনীতিতে এসেছেন, কিন্তু ৩৭০ ধারা বিলুপ্তির জন্য, কাশ্মীরে তিন প্রজন্ম ধরে জীবন দিয়েছে বিজেপি। আমাদের কাছে এটা রাজনৈতিক ইস্যু নয়। ভারত মাকে অখণ্ড রাখতে এটা আমাদের লক্ষ্য”।