This Article is From Dec 20, 2019

‘‘কীসের এনআরসি’’: বিজেপির জোটসঙ্গী নীতীশ কুমারের কথায় বড় ইঙ্গিত

শুক্রবার তিনি ইঙ্গিত দিলেন, যে বিহারে তিনি এনআরসি হতে দেবেন না। নিঃসন্দেহে তাঁর এই ইঙ্গিতে বিজেপির অস্বস্তি আরও বাড়ল।

‘‘কীসের এনআরসি’’: বিজেপির জোটসঙ্গী নীতীশ কুমারের কথায় বড় ইঙ্গিত

নীতিশ কুমার যে রাজ্যে এনআরসি করতে দেবেন না এই দাবি শনিবারই করেছিলেন দলের নেতা প্রশান্ত কিশোর।

নয়াদিল্লি:

‘‘কীসের এনআরসি (NRC)?'' এভাবেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে প্রতিক্রিয়া জানালেন বিহারের (Bihar) মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। শুক্রবার তিনি ইঙ্গিত দিলেন, যে বিহারে তিনি এনআরসি হতে দেবেন না। নিঃসন্দেহে তাঁর এই ইঙ্গিতে বিজেপির অস্বস্তি আরও বাড়ল। দেশজুড়ে নতুন নাগরিকত্ব আইন ও প্রস্তাবিত এনআরসির প্রতিবাদ-বিক্ষোভে নতুন মাত্রা যোগ করল নীতীশ  কুমারের এই মন্তব্য। শনিবারই নির্বাচনি কৌশলী তথা জনতা দল ইউনাইটেড নেতা প্রশান্ত কিশোর সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, নীতীশ কুমার তাঁকে আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, বিহারে এনআরসি হতে দেবেন না। এদিন নীতীশের কথাতে সেই সুরই লক্ষ করা গে‌ল।

তবে মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি কিছু বলেননি। তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এনআরসির বিষয়ে পরে বিস্তারিত কথা বলবেন।

"দেশ ও জনগণের প্রতি সম্পূর্ণ বিশ্বাস আছে, নাগরিকত্ব আইন নিয়ে জনমত সমীক্ষা হোক": প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর

জেডিইউ-এর বহু নেতা এর আগে প্রকাশ্যে নাগরিকত্ব বিল নিয়ে নীতীশ  কুমারের মত পরিবর্তন নিয়ে তাঁদের ক্ষোভ জানিয়েছিলেন। প্রথমে ওই বিলকে সমর্থন করেননি নীতীশ  কুমার। পরে অবশ্য তিনি সমর্থন করেন বিলটিকে। 

নীতীশ কুমারের ওই মত পরিবর্তনকে ভাল ভাবে নেননি প্রশান্ত কিশোরও। তিনি একাধিক টুইটে সেব্যাপারে জানিয়ে পদত্যাগের ইচ্ছাও প্রকাশ করেছিলেন।

পুলিশের হাত এড়িয়ে পালালেন জামা মসজিদ চত্বরে আটক চন্দ্রশেখর আজাদ

বিজেপির আর এক জোটসঙ্গী অকালি দলও প্রকাশ্যে এনআরসি ও নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেছেন।

এরই মধ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি রাজ্যে এনআরসি করতে দেবেন না। তাঁর পাশাপাশি অ-বিজেপি আরও অন্য রাজ্যও একথা জান‌িয়েছে।

সমা‌লোচকদের আশঙ্কা এনআরসি হয়তো মূলত মুসলিমদের লক্ষ্য করে ব্যবহৃত হবে। নতুন নাগরিকত্ব আইনে ২০১৫-র আগে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্বের আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

অসমে এনআরসি বা জাতীয় নাগরিক পঞ্জি প্রকাশিত হয় আগস্টে। ১৯ লক্ষ মানুষের নাম বাদ যায় সেই তালিকা থেকে। তালিকায় অধিকাংশ নামই ছিল হিন্দুদের। এই বিজেপিকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে। 

.