JDU-এর জাতীয় সহ-সভাপতি তথা রাজনৈতিক কৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোর (ফাইল চিত্র)
হাইলাইটস
- প্রশান্ত কিশোর এবং সুশীল মোদির মধ্যে মতবিরোধ প্রকাশ্যে
- পুরনো ভিডিও শেয়ার করে সুশীল মোদিকে বিঁধলেন প্রশান্ত কিশোর
- 'সুশীল মোদির পাল্টি খাওয়া একেবারে স্পষ্ট', বলেন তিনি
নয়া দিল্লি: বিহার (Bihar) এখন উত্তপ্ত ক্ষমতাসীন জোট সরকারের দুই প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের মধ্যে চলতে থাকা বাগযুদ্ধ ঘিরে। বিজেপি এবং জেডিউ সরকারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদির সঙ্গে প্রবল দ্বন্দ্ব চলছে জেডিইউর জাতীয় সহ-সভাপতি তথা রাজনৈতিক কৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor)। সম্প্রতি সুশীল মোদি (Sushil Kumar Modi) একটি টুইটে জেডিইউয়ের কিছু নেতাকে ইঙ্গিত করে বলেন যে তাঁরা জেডিইউ প্রধান তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) সঙ্গে বেইমানি করছেন। প্রশান্ত কিশোর এই ঘটনাকে অসম্মানজনক বলে উল্লেখ করে সুশীল মোদিকে একটি পুরনো ভিডিওতে ট্যাগ করে ওই টুইটের জবাব দিয়েছেন।
প্রশান্ত কিশোর বনাম বিজেপি দ্বন্দ্ব, কী বললেন নীতীশ কুমার
এর আগে সুশীল কুমার মোদি একটি টুইটে লেখেন, 'নীতীশ কুমারের সমস্যা হল যে সব লোকেদের তিনি মাটি থেকে তুলে এনে ভাল জায়গায় বসান, পরে তাঁরাই তাঁর জন্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তিনি কাউকে নিজের আসন দিয়েছেন, কাউকে রাজ্যসভার সদস্য করেছেন, কাউকে অরাজনৈতিক জায়গা থেকে তুলে এনে সংগঠনের উঁচু পদে বসিয়েছেন, কিন্তু তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ বেইমানি করতে দ্বিধা করেননি । আসলে রাজনীতিতেও সবসময় ন্যায্য সব কিছু হয় না।
এরপরেই প্রশান্ত কিশোর সুশীল মোদির একটি পুরানো ভিডিও শেয়ার করে টুইট করেন, "মানুষকে চরিত্রের সার্টিফিকেট দেওয়ার ক্ষেত্রে সুশীল কুমার মোদি জি-র কোনও জুড়ি নেই। দেখুন, আপনি আগেও এই ধরণের কথা বলেছিলেন এবং এখন উপ মুখ্যমন্ত্রী হয়ে লিখে সার্টিফিকেট দিচ্ছেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ওনার পাল্টি খাওয়ার ধরণও খুব স্পষ্ট"।
‘‘এক ব্যক্তি যিনি লাভ করতে ব্যবসা করেন...'': প্রশান্ত কিশোরকে আক্রমণ বিজেপির
প্রশান্ত কিশোরের শেয়ার করা ভিডিওতে উপ মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদিকে বলতে শোনা যায়, "নীতীশ কুমার নিজেকে বিহারের সমার্থক ভাবতে শুরু করেছেন। কিন্তু নীতীশ কুমার বিহার নন এবং বিহারও নীতীশ কুমার নয়। ভারত ইন্দিরা, ইন্দিরা ভারত, সেই যুগ চলে গেছে । নীতীশের ডিএনএ পরীক্ষা করলে তাতে শুধু বিশ্বাসঘাতকতা এবং প্রতারণাই দেখতে পাওয়া যাবে। তিনি জিতেন রাম মাঝির সঙ্গে যেভাবে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন তা ভোলার নয়। ১৭ বছর ধরে সখ্যতার পরে তিনি বিজেপির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, তিনি বিহারের জনাদেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, শিবানন্দ তিওয়ারি থেকে জর্জ ফার্নান্ডেজের সঙ্গে পর্যন্ত বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন তিনি, এমনকি লালু যাদবের সঙ্গেও বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, বোঝাই যাচ্ছে নীতীশ কুমারের ডিএনএ-তেই বিশ্বাসঘাতকতা আছে, তাঁর ডিএনএ আর বিহারের মানুষের ডিএনএ এক নয়।"