বেতন না পাওয়ায় পাইলটদের পরিস্থিতি খুব খারাপ হয়ে গিয়েছে।
হাইলাইটস
- কয়েক দিনের মধ্যে জেটের আর্থিক পরিস্থিতি খুবই খারাপ হয়েছে
- নতুন করে আরও বেশ কিছু বিমান বসিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থা
- উড়ান সংস্থার আর্থিক সংকট কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রবল চিন্তায় ফেলেছে
নিউ দিল্লি: আমরা যখন পাইলটের আসনে বসি তখন সমস্ত মানসিক যন্ত্রণা দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করি।কিন্তু দিনের শেষে আমরাও মানুষ । দূরে সরাতে চাইলেও যন্ত্রণার অনুভূতি দূরে যায় না। দেশের অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী সুরেশ প্রভুকে লেখা চিঠিতে একথাই জানিয়েছেন তীব্র অর্থ সংকটে ভুগতে থাকা উড়ান সংস্থা জেট এয়ারওয়েজের পাইলট করণ চোপড়া। বোয়িং ৭৭৭ বিমানের এই পাইলট পেশায় আছেন দু'দশক।গত চার মাসেরও বেশি সময় বেতন হয়নি তাঁর।কয়েক দিনের মধ্যে জেটের আর্থিক পরিস্থিতি খুবই খারাপ হয়েছে। নতুন করে আরও বেশ কিছু বিমান বসিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থা। দেশের অন্যতম জনপ্রিয় এই উড়ান সংস্থার আর্থিক সংকট কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রবল চিন্তায় ফেলেছে। এমতাবস্থায় চিঠি লিখলেন পাইলট। জেটের কর্মী সংগঠনের এই নেতা লিখেছেন, পাইলটদের মধ্যে যে মানসিক চাপ তৈরি হয়েছে তা যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য ভাল বিষয় নয়।
বারাণসী থেকেই আবার লড়বেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
মধ্য প্র্যাচের উড়ান সংস্থা ইথাডের কাছে জেটের সবচেয়ে বেশি অংশীদারিত্ব আছে। তাদের দিক থেকে আসা কোনও কিছুতে আর্থিক সংকট মিটবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। আর তাছাড়া এই সংস্থাকে ঋণ দেওয়া ব্যাঙ্ক এসবিআই কোনও রফাসূত্র বের করতে পারবে কি না তাও নিশ্চিত নয়।
একটি সূত্র বলছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফে জেটের চেয়ারম্যান নরেশ গোয়েল তাঁর স্ত্রী এবং আরও দুই কর্তাকে পদ ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। এসবিআইয়ের চেয়ারম্যান জানান গত পাঁচ মাস ধরে সমাধান সূত্র খোঁজার চেষ্টা হচ্ছে। পরিকল্পনা হয়ে গিয়েছে। কয়েকটি কারণে তা আটকে আছে।
চিঠিতে চোপড়া আরও লিখেছেন, বেতন না পাওয়ায় পাইলটদের পরিস্থিতি খুব খারাপ হয়ে গিয়েছে। বাড়ির কেউ অসুস্থ হলে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। ছেলেমেয়েদের পড়াশুনো বন্ধ হয়ে যেতে বসেছে। কেউ কেউ নিজের মায়ের গয়না বন্দক রাখতে বাধ্য হচ্ছেন। আরেক প্রবীণ পাইলট বলেছেন জেট বন্ধ হয়ে গেলে ১৫০০ পাইলট কর্মহীন হয়ে পড়বেন। সবাই যে নতুন চাকরি পাবেন তাঁর নিশ্চয়তা নেই।