This Article is From Dec 23, 2019

ঝাড়খন্ডে পরাজয় স্বীকার করলেন রঘুবর দাস

Jharkhand election results:এর আগে রঘুবর দাস বলেন, তিনি আত্মবিশ্বাসী যে, বিজেপিই জিতবে

ঝাড়খন্ডে পরাজয় স্বীকার করলেন রঘুবর দাস

Jharkhand election results: নির্বাচনে পরাজয় স্বীকার করে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস

রাঁচি:

ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয় স্বীকার করলেন মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস। বিকেলের ভোট গণনার ট্রেন্ড মেনে সে রাজ্যে দ্বিতীয় স্থানে বিজেপি।ইতিমধ্যে ম্যাজিক ফিগার ৪১ পেরিয়েছে বিরোধী কংগ্রেস-জেএমএম-আরজেডি জোট। সরকার গড়ার আর কোনও সম্ভাবনা নেই বুঝতে পেরে সোমবার বিকেলে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস বলেন, "মানুষের রায় মাথা পেতে নিচ্ছে বিজেপি।" বিকেল পর্যন্ত ভোট গণনার ট্রেন্ড বলছে ৪৫টির বেশি আসনে এগিয়ে জেএমএম-কংগ্রেস জোট। আর তাদের থেকে প্রায় ২০টি আসন পিছিয়ে থেকে ২৫টিতে এগিয়ে বিজেপি।এমনকী দৌড়ে অনেক পিছিয়ে সে রাজ্যে বিজেপির সম্ভাব্য শরিক আজসু ও জেভিএম। এই টেন্ড কোনোভাবেই আর বিজেপির দিকে যাবে না। সেটা আন্দাজ করেই বিরোধী জোটের কাছে হার স্বীকার করলেন রঘুবর দাস বলে দাবি কংগ্রেস-জেএমএম শিবিরের। 

Election Results: ঝাড়খণ্ডে জিততে চলেছে জেএমম-কংগ্রেস জোট,পরাজয় স্বীকার রঘুবর দাসের

যদিও এদিন সকালের দিকে রঘুবর দাস বলেছিলেন, আমি আশাবাদী ফল আমাদের দিকেই যাবে।চূড়ান্ত গণনা অবধি আমরা অপেক্ষা করবো।তিনি যোগ করেছিলেন, কয়েকটি আসনে মেরুকরণ হয়েছে।কিছু আসনে প্রতিষ্ঠান-বিরোধিতা রয়েছে। কিন্তু আমরা নিশ্চিত চূড়ান্ত ফল বেরোলে আমরাই সরকার গড়বো। আমরা সে বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী।  একই কথা শোনা  গেছিলো  কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডার গলায়  ভোটার চূড়ান্ত ফল দেখে শরিক নির্বাচন করবে দল, জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ বেলার গণনায় সেই আশাও ক্ষীণ হলো হলো বলে মত পর্যবেক্ষকদের। জানা গেছে, জামশেদপুর পূর্ব (East) আসন থেকে পিছিয়ে রঘুবর দাস। যদিও গত ২৪ বছর ধরে সেই আসন থেকে জিতে আসছিলেন তিনি।

চূড়ান্ত ফল দেখে তবেই শরিক নির্বাচন; দাবি করলেন অর্জুন মুণ্ডা

ঝাড়খন্ডের রাজনৈতিক ইতিহাস বলছে, সে রাজ্যে কোনো মুখ্যমন্ত্রী পরপর দুবার সরকার গড়তে পারেন নি। তবে এই হার প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসকেই দুষছে বিজেপি শিবির। অভিযোগ, তাঁর দম্ভ, অর্জুন মুন্ডার মতো আদিবাসী মুখকে একঘরে করে দেওয়া এই ভোটে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। এমনকি বিজেপি শরিক আজসু নেতা সুদেশ মাহাতোকেও অবজ্ঞা করতেন তিনি। ফলে জোট হিসেবে লড়তে পারেনি সে রাজ্যের প্রধান শাসক দল।  প্রশাসন পরিচালনায় তাঁর  অদক্ষতা সমালোচনার মুখে পড়েছিল। দলের ছোট-বড় কোনো নেতার সঙ্গে সদ্ভাব ছিল না রঘুবর দাসের। ফলে ভোট প্রস্তুতিতে তার প্রভাব পড়েছিল, দাবি বিজেপির একটা সূত্রের।

Jharkhand Election: নির্বাচনে বিজেপির ফলাফলে প্রভাব ফেলতে পারে NRC আর CAA! দেখুন ৫টি কারণ

গত বছর রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে ক্ষমতা হারিয়েছে বিজেপি। এবছর অক্টোবরে একপ্রস্থ শরিকি বিবাদের পর বিজেপির হাত ছেড়ে কংগ্রেস ও এনসিপির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার চালাচ্ছে শিব সেনা।তারপর সংসদে পেশ হয় সিএএ বিল। যা এখন আইনও বটে। সে নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ, তার মধ্যে ঝাড়খন্ডে বিরোধীদের এই ফল তাৎপর্যপূর্ণ। দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।

.