Jharkhand Election Results: অপারেশন সোরেন চলতি বছর মার্চে পথ চলা শুরু করেছিল
রাঁচি , ঝাড়খণ্ড:
ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে কুপোকাত করতে, তিনটে বিষয়ের উপর জোর প্রচার এবং রণকৌশলের আমূল পরিবর্তন হেমন্ত সোরেনকে সাহায্য করেছে। পাশাপাশি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ দল আর টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেস (টিআইএসেস)-এর ক্রিয়েটিভ প্রচার অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে। এই দুটি প্রতিষ্ঠান গবেষণা করে ১০টি এজেন্ডা তুলে ধরেছিল। যার উপর ভর করে দু মাসের পরিবর্তন যাত্রা অনুষ্ঠিত করেছিল জেএমএম। গত ১৯ অক্টোবর রাঁচিতে যার সমাপ্তি টানা হয়। যে তিনটে বিষয়ে প্রচারে জোর দেওয়া হয়েছিল: 'স্থানীয় সমস্যাগুলো খুঁজে বের করে সমাধান', 'আদিবাসী সম্প্রদায়ের বাইরে হেমন্ত সোরেনকে গ্রহণযোগ্য করে তোলা' আর 'অহংকারী মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসের, হেমন্ত সরেনের প্রতি নিচু মনোভাব।'
পাশাপাশি যে ১০টি এজেন্ডা সামনে আনা হয়েছিল:
Here is a look at the 10-point plan:
বক্তৃতা যা সমস্যার সমাধান বলে দেবে। যেমন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ঝাড়খন্ডের জন্য অপ্রতুল। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন তিন লক্ষের বাড়ি সঙ্গে শৌচাগার ও রান্নাঘর।
অপারেশন সোরেন চলতি বছর মার্চে পথ চলা শুরু করেছিল। তাঁর টিম গবেষণা ভিত্তিক .একটা তথ্য সম্বলিত একটা গবেষণাপত্র হেমন্ত সোরেনের হাতে তুলে দিয়েছিল। দেশ, রাজ্য রাজনীতির হাল-হকিকত, নেতাদের বক্তৃতার সারাংশ খুঁজে বের করে সেই গবেষণা পত্রে উল্লেখ করা হয়েছিল।
ভোট প্রস্তুতিতে সোশ্যাল মিডিয়া প্রচারকে অন্য মাত্রা দিয়েছিলো তার রিসার্চ টিম। জেএমএম-এর জেলা শাখার টুইটার একাউন্ট ভেরিফায়েড ছিল। প্রত্যেকটা মিছিল, মিটিং, বক্তৃতার সরাসরি সম্প্রচার হতো ওই একাউন্টে ও ফেসবুকে।
তাঁর এক ঘনিষ্ঠ বলেছেন, হেমন্ত সোরেন ২৮দিনে ১৬৫টা পদযাত্রা করেছেন। প্রত্যেকটা বিধানসভা ক্ষেত্র দুবার করে ঘুরেছেন। বেসরকরি ভাবে নাগরিক সমাজ, সমাজকর্মী ও সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
বিজেপির তৃণমূ স্তরের সংগঠনের সঙ্গে পাল্লা দিতে জেএমএম'র সোশ্যাল মিডিয়া স্বেচ্ছাসেবীদের একটা দল ২০১৮ সালে তৈরী করা হয়েছিল। এবং প্রশিক্ষণের পর তাঁদের সব জেলায় পাঠিয়ে স্থানীয় সমস্যা তুলে ধরে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছিল।
তাঁর বক্তব্য ছিল ঝাড়খণ্ডের সমস্যা সমাধান কেন্দ্রিক। কিন্তু বিজেপি প্রচার করতো জাতীয় ইসু আর সংবিধানের ৩৭০ ধারা নিয়ে।
কেমন বক্তব্য রাখবেন? ময়দান ঘুরে এসে তা তৈরি করে দিতো অক্সফোর্ড, সাসেক্স, এসেক্স এত টিআইএসএস।
পাঁচ পর্যায়ের সংঘর্ষ যাত্রা গত বছর সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছর মার্চ পর্যন্ত চালু করা হয়েছিল।
আবেগ (emotion) নাম একটা যোগাযোগের মাধ্যম তৈরি করা হয়েছিল। যার মানে ছিল হেমন্ত সোরেন ব্যক্তিগত ভাবে দয়ালু, সাধারণ এবং দক্ষ।
একের বিরুদ্ধে এক (presidential-style) নির্বাচনে রূপান্তরিত করা হয়েছিল এই ভোট যুদ্ধকে। যেখানে জনদরদী সোরেন বনাম জনমানস থেকে বিচ্ছিন্ন রঘুবর দাসের লড়াই ছিল।
Post a comment