Jharkhand Election Results: ভোট গণনার সময় জয়সূচক চিহ্ন দেখাচ্ছেন কংগ্রেস, জেএমএম কর্মীরা
নয়াদিল্লি:
সোমবার ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগণনায় ব্যাপক জয় পেল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ও কংগ্রেস জোট, চলতি বছরে আরও একটা রাজ্য হারাল বিজেপি। পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছে বিজেপি, জেএমম নেতৃত্বাধীন জোটকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ৩০টি আসনে জয়লাভ করেছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস ১৫টিতে। ১২টি আসনে এগিয়ে রয়েছে জোট, ২৫টিতে এগিয়ে বিজেপি। দলের সভাপতি অমিত শাহ বলেন, “ঝাড়খণ্ডের মানুষের রায় মাথা মেতে নেবে দল”। দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য তৈরি বিরোধী জোটের অন্যতম মুখ হেমন্ত সোরেন। একবছরে এই নিয়ে মোট পাঁচটি রাজ্যে পরাজয় হল বিজেপির। গত বছরে, তারা পরাজিত হয়েছিল রাজস্থান, ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশে। এবছরে, লোকসভা নির্বাচনে জয়ের পর, বিজেপি ক্ষমতাচ্যূত হয়েছে মহারাষ্ট্রে।
ঝাড়খণ্ড নির্বাচনের ফলাফল সংক্রান্ত ১০টি তথ্য এখানে:
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ট্যুইট করেন, “বহু বছর ধরে বিজেপিকে সে রাজ্যের মানুষের সেবা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি ঝাড়খণ্ডের মানুষকে ধন্যবাদ জানাই। তাঁদের নিরলস প্রচেষ্টাক জন্য আমি দলের নেতাকর্মীদেরও অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা রাজ্যের জন্য কাজ চালিয়ে যাব, এবং সময়ে সময়ে জনকেন্দ্রিক বিভিন্ন ইস্যু তুলে ধরব”।
বিজেপির থেকে জোট এগিয়ে থাকার প্রবণতা আসতেই,. বাবা শিবু সোরেনের সঙ্গে দেখা করে তাঁর আশীর্বাদ নিয়েছেন বিরোধী জোটের মুখ এবং মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হেমন্ত সোরেন। রাজ্যের আন্দোলনে অন্যতম মুখ ছিলেন শিবু সোরেন এবং তিনি তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের হেমন্ত সোরেন বলেন, “ঝাড়খণ্ডের মানুষ আমাদের রায় দিয়েছেন, আমি তাঁদের ধন্যবাদ জানাই...আজ রাজ্যের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হল, এই অধ্যায়কে অনেক দূর যেতে হবে...যে কারণে ঝাড়খণ্ড তৈরি হয়েছিল, তা পূরণ করার সময় এসেছে”।
এর আগে ২০১৩-২০১৪ পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন হেমন্ত সোরেন। এবার, দুমকা ও বারহিট থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন তিনি, এবং দুটিতেই জিতেছেন। দুমকা কেন্দ্রে লুই মারাণ্ডিকে দাঁড় করিয়েছিলেন বিজেপি।
জামশেদপুরে কেন্দ্রে দাঁড়িয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস, তিনি পিছিয়ে রয়েছে নির্দল প্রার্থী সরযু রাইয়ের বিরুদ্ধে।
প্রবণতা পরিষ্কার হতেই, পরাজয়ের দায় নিয়েছেন রঘুবর দাস, বলেন, “এটা আমার পরাজয়, বিজেপির নয়”।
বিজেপি বুঝতে পারে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় তাদের পরাজয় ঘনিয়ে আসছে। তপশিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত আসনের ২৮টির মধ্যে মাত্র ২টিতে জেতে কেন্দ্রের শাসকদল।দলের নেতারা অনেকেই ঘনিষ্ঠমহলে স্বীকার করেছেন, শুধুমাত্র আদিবাসী ভোটারদের ক্ষোভই নয়, মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসের, দলের নেতাদের প্রতি অহংকারি মনোভাবও খারাপ ফলের জন্য দায়ী।
২০১৪ নির্বাচনে, বিজেপি জিতেছিল ৩৭টি আসনে, অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন জিতেছিল পাঁচটি আসনে। মাত্র ৬টি জয় পেয়েছিল কংগ্রেস।
এবারে ৩০ নভেম্বর থেকে পাঁ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দফায় ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়।
ঝাড়খণ্ড হাতছাড়া হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এখন বিজেপির সরকার রইল দেশের ৩৫ শতাংশ রাজ্যে, যেখানে ২০১৭ সালে ছিল ৭১ শতাংশ রাজ্যে, সেই সময় পুরো হিন্দি বলয়ে ক্ষমতায় ছিল গেরুয়া শিবির।
Post a comment