Read in English
This Article is From Dec 23, 2019

Jharkhand Election Results: "ঝাড়খণ্ডের ভোটের ফলাফলের সঙ্গে এনআরসিকে জোড়া ভুল": বিজেপি

Jharkhand election results: কোন কোন বিষয় মাথায় রেখে সাধারণ মানুষ গেরুয়া দলকে ভোট দেয়নি তার জোর আলোচনা চলছে দলের অন্দরে। পাঁচ দফায় নির্বাচনে JMM-Congress জোট বিজেপিকে ছাড়িয়ে গিয়েছে এই রাজ্যে।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

Jharkhand results: সুদেশ ভার্মা বলেন, “ঝাড়খণ্ড নির্বাচনের ফলাফলে এই প্রভাব NRC-র কারণে হয়েছে এমনটা বলা ভুল।”

রাঁচি:

BJP ক্ষমতায় এলে সাধারণ মানুষের কী কী লাভ হবে তা বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছে দল! ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচনের (Jharkhand Assembly Election Result) ফলাফলে বিজেপির পিছিয়ে থাকার পরে এমনটাই জানানো হয়েছে দলের তরফে। বিজেপি ৮১ টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৬৫ টি আসন জয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল। তবে এমন ফলাফলের পিছনে NRC-র ভূমিকা রয়েছে তা মানতে অস্বীকার করেছে দল। আঞ্চলিক উপজাতি জনগোষ্ঠীর প্রাধান্য রয়েছে ঝাড়খণ্ডে, রাজ্যে কীভাবে কোন কোন বিষয় মাথায় রেখে সাধারণ মানুষ গেরুয়া দলকে ভোট দেয়নি তার জোর আলোচনা চলছে দলের অন্দরে। পাঁচ দফায় নির্বাচনে জেএমএম-কংগ্রেস (JMM-Congress) জোট বিজেপিকে ছাড়িয়ে গিয়েছে এই রাজ্যে। 

জেএমএম-কংগ্রেস জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতার অঙ্ক পেরোল— ১০ তথ্য | লাইভ আপডেট

বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সুদেশ ভার্মা (Sudesh Verma) আজ NDTV-কে বলেন, “ঝাড়খণ্ডের এই ফলাফল প্রত্যাশিত নয় কারণ বিজেপি ৬৫ টি আসন জয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল। আমরা আমাদের উন্নয়নের কর্মসূচি মানুষকে বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছি বলেই মনে হয়।” সুদেশ ভার্মা আরও বলেন, “তবে এনআরসি ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনের ইস্যু ছিল না।” "এটি (এনআরসি) মোটেই প্রচারের বিষয় ছিল না। ঝাড়খণ্ড এমন একটি রাজ্য যেখানে কোনও প্রতিবাদ বা হিংসা ছড়ায়নি। আমাদের দিক থেকে আমরা জনগণকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে এনআরসি আখেরে তাদের লাভেরই বিষয় ছিল। এটি নির্বাচনী ইস্যু ছিল না। এখনই আমরা বলতে পারব না জনগণের এই রায় CAA (নাগরিকত্ব সংশোধন আইন) এর পক্ষে নাকি বিপক্ষে," বলেন সুদেশ ভার্মা।

Advertisement

"এত তাড়াতাড়ি কিছু বলা যাবে না": সরকার ধরে রাখা নিয়ে বললেন রঘুবর দাস

ভারতে অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত করার জন্য এনআরসি প্রথম করা হয়েছে অসমে। কমপক্ষে ১৯ লাখ মানুষের নাম এনআরসির তালিকায় নেই। নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইনের পরে দেশের সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে সিএএ-এনআরসি। সমালোচকরা বলছেন এনআরসির ফলে নাগরিকদের ভীষণ সমস্যায় পড়তে হবে।

Advertisement

সুদেশ ভার্মা এনডিটিভিকে বলেন, “ঝাড়খণ্ড নির্বাচনের ফলে এই প্রভাব এনআরসি-র কারণে হয়েছে এমনটা বলা ভুল।” ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) এবং কংগ্রেস জোট ক্ষমতাসীন বিজেপির চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস বলেছেন, প্রবণতা সম্পর্কে এখনই মন্তব্য করা “খুব হুড়োহুড়ি” হয়ে যাবে। বিজেপির পক্ষে এই রাজ্যের ফলাফল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

গত বছর কংগ্রেসের কাছে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড়ে হেরে গিয়েছিল বিজেপি। এই বছর লোকসভা নির্বাচনে বিপুল সাফল্যের পরে, মহারাষ্ট্র বিধানসভায় ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে জোটসঙ্গী শিবসেনার সঙ্গে মতপার্থক্যের কারণে এই রাজ্য বিজেপির দখল থেকে সরে যায়।

Advertisement

৩০ নভেম্বর থেকে ২০ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দফায় ঝাড়খণ্ডে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। চলতি বছরের গোড়ার দিকে আয়োজিত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি রাজ্যের ১৪ টি আসনের মধ্যে ১১ টি জিতেছিল।

Advertisement