Read in English
This Article is From Dec 25, 2019

হেমন্ত সোরেন, ঝাড়খণ্ডের যুব মুখ, দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হতে প্রস্তুত

Jharkhand election results: কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ে দুমকা এবং বারহেট থেকে লড়েন হেমন্ত সোরেন

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

জেএমম নেতা হেমন্ত সোরেন উন্নয়নশীল নীতির জন্য পরিচিত (পিটিআই)

রাঁচি :

ভোট গণনা এখনও কয়েক রাউন্ড বাকি। কিন্তু ট্রেন্ড মেনে দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে প্রস্ত্রুতি শুরু করেছেন হেমন্ত সোরেন। ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা বা জেএমএম'র (জেএমএম) এই যুব মুখ সোমবার বিকেলে বাবা প্রবীণ রাজনীতিবিদ শিবু সোরেনের আশীর্বাদ নিতে তাঁর বাসভবনে যান। এদিন সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "ঝাড়খণ্ডের মানসূহ আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছে। সে জন্য তাঁদের ধন্যবাদ জানাই। আজ থেকে এই রাজ্যের জন্য একটা নতুন পর্ব শুরু হলো। সেই পর্ব আগামীদিনে মাইলস্টোন হবে। ঝাড়খন্ড যে কারণে তৈরী হয়েছে সেটা পূরণ করার আজ সেই দিন এসেছে।" পাশাপাশি তিনি সনিয়া গান্ধি, রাহুল গান্ধি এবং লালু প্রসাদ যাদবকে ধন্যবাদ জানান তাঁকে সমর্থন করার জন্য। 

 তিনি যোগ করেন, "আমি লালুজি, সনিয়া গান্ধিজি, রাহুল গান্ধীজিকে ধন্যবাদ জানাই।ওরা  আমাকে সমর্থন করেছিলেন। আজ রাজ্যের ভোটারেরা আমাদের পক্ষেই রায় দিয়েছে।" হেমন্ত সোরেন সে রাজ্যের পঞ্চম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রী  রঘুবর দাসের স্থলাভিষিক্ত হবেন। রঘুবর দাস  সে রাজ্যের প্রথম প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, যিনি পুরো পাঁচবছর পূর্ণ করলেন। হেমন্ত সোরেনের বাবা, শিবু সোরেন বিহার ভেঙে পৃথক ঝাড়খন্ড রাজ্য গঠনের জন্য চলা আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন। তিনি দুবার সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও হয়েছেন। খুব অল্প বয়সেই ২০০৯ সালে রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয় হেমন্ত সোরেনের।

৩৬ বছর বয়সে তিনি অর্জুন মুন্ডা সরকারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী .হয়েছিলেন। কিন্তু চার বছরের মাথায় ২০১৩ সালে সেই সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে জেএমএম। সে বছর জানুয়ারিতে ঝাড়খন্ডে লাগু হয় রাষ্ট্রপতি শাসন। এরপর সে বছর জুলাইতে সে রাজ্যের সবচেয়ে কনিষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন হেমন্ত সোরেন। তবে এক বছরের জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। পরে ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত বিধানসভা নির্বাচনে ভোট জিতে মুখ্যমন্ত্রী হন বিজেপির রঘুবর দাস। আদিবাসী অধ্যূষিত এই রাজ্য জন্মের পর থেকে মোট তিনবার রাষ্ট্রপতি শাসন দেখেছে। এর আগে কোনো সরকারি পূর্ণ সময়ের জন্য মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেনি। তবে যে ১৭ মাস হেমন্ত সোরেন মুখ্যমন্ত্রী  ছিলেন, তাঁর  কয়েকটা কাজ বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছিল। যার মধ্যে সরকারি চাকরিতে মহিলাদের জন্য ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ এবং পশ্চিম (West) সিংভূম ও সারেন্ডার মতো মাও অধ্যুষিত এলাকে শান্তি ফেরানো। 

Advertisement
Advertisement