জয়ের জন্য হেমন্ত সোরেনকে অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রী মোদির
নয়াদিল্লি: সোমবার ঝাড়খণ্ডে তাদের জয়ের জন্য জেএমএম (JMM) নেতৃত্বাধীন জোট এবং হেমন্ত সোরেনকে (Hemant Soren) অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রেকর্ডভাবে ঝাড়খণ্ডে জিততে চলেছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (Jharkhand Mukti Morcha) নেতৃত্বধীন কংগ্রেস, আরজেডি জোট, তারা এগিয়ে রয়েছে ৪৭টি আসনে, বিজেপি ২৪টি আসনে রয়েছে বিজেপি। ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় মোট আসনসংখ্যা ৮১। প্রধানমন্ত্রী ট্যুইটে লেখেন, “হেমন্ত সোরেনজী এবং জেএমএম নেতৃত্বাধীন জোটকে ঝাড়খণ্ডের ভোটে জয়ের জন্য অভিনন্দন। রাজ্যের সেবার জন্য তাঁদের আন্তরিক শুভেচ্ছা”। প্রধানমন্ত্রীর ট্যুইট করার কিছুক্ষণ আগেই পরাজয় স্বীকার করে নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “ঝাড়খণ্ডের মানুষের রায়কে সম্মান করে” বিজেপি।
দলের কর্মীদের “কঠোর পরিশ্রমের” জন্যও ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, “বহু বছর ধরে রাজ্যের মানুষের সেবা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য” রাজ্যের মানুষকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
ঝাড়খণ্ডে পরাজয় বিজেপির কাছে বড় ধাক্কা, গত বছরে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে হেরেছিল গেরুয়া বাহিনী।
এছাড়াও শিবসেনার সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগিতে ঐক্যমত না হওয়ায় হাতছাড়া হয়েছে মহারাষ্ট্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য, সেখানে কংগ্রেস ও এনসিপির সঙ্গে জোট গড়ে ক্ষমতা দখল করেছে শিবসেনা, যারা বিজেপির দীর্ঘদিনের জোটসঙ্গী।
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে বিজেপি, বিশাল জয় পেয়েছে এনডিএ এবং একাই ৩০০-এর বেশী আসন পেয়েছে বিজেপি।
প্রধানমন্ত্রী ট্যুইট করার কিছুক্ষণ আগেই, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পরাজয় স্বীকার করে নিয়ে বলেন, “ঝাড়খণ্ডের মানুষের রায় মাথা পেতে নেবে” বিজেপি।
তিনি বলেন, “ঝাড়খণ্ডের মানুষের রায় মাথা পেতে নিচ্ছি আমরা। গত পাঁচ বছর রাজ্যের সেবা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য আমরা ধন্যবাদ দিতে চাই রাজ্যবাসীকে। রাজ্যের উন্নয়নের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে বিজেপি”, দলের নেতাকর্মীদেরও কঠোর পরিশ্রমের জন্য ধন্যবাদ জানান বিজেপি সভাপতি।
এই কপি লেখার সময় পর্যন্ত, ৪৭টি আসনে এগিয়ে রয়েছে জেএমম-কংগ্রেস-আরজেডি জোট। ২৫টিতে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি, গত বছরের থেকে ১২টি আসনে পিছিয়ে রয়েছে কেন্দ্রের শাসকদল।
২০১৪ নির্বাচনের ফলাফলের থেকে এবারে বড় পরিবর্তন, গতবারে তারা অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টেস ইউনিয়নের সঙ্গে জোট গড়ে ৪২টি আসন পায়, কংগ্রেস পেয়েছিল মাত্র ৬টি আসন।
এদিনই, জেএমম নেতা হেমন্ত সোরেন তাঁদের দলকে “জনাদেশ” দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান, ঘোষণা করেন, নতুন সরকারের নেতৃত্বে তাঁদের প্রতিশ্রুতি পালনে এগিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে।