This Article is From Sep 19, 2019

ঝাড়খণ্ডে গণহত্যার ঘটনায়, ৮ দিন পর, ১১ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ ফিরল

একটি জাতীয় স্তরের টেলিভিশন চ্যানেলে দেখা যায়, চুরির অভিযোগে তবরেজ আনসারিকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রড দিয়ে মারা হচ্ছে, এবং “জয় শ্রীরাম” বলতে জোর করা হচ্ছে

১৮ জুন কয়েকঘন্টা ধরে তবরেজ আনসারিকে মারধর করা হয়, কয়েকদিন পর তাঁর মৃত্যু হয়

হাইলাইটস

  • কয়েকঘন্টা ধরে তবরেজ আনসারিকে খুঁটিতে বেঁধে মারধর করা হয়
  • ময়নাতদন্তে বলা হয়, তাঁর হৃদরোগে মৃত্যু হয়েছে
  • নয়া নেডিক্যাল রিপোর্টে ভিত্তি করে খুনের অভিযোগ ফেরানো হয়
রাঁচি:

আটদিন আগেই, ঝাড়খণ্ডে মুসলিম যুবক তবরেজ আনসারির (Tabrez Ansari) গণহত্যায় অভিযুক্ত ১১ জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ বাদ দিয়েছিল রাজ্য পুলিশ, বুধবার আবারও তাদের বিরুদ্ধে সেই অভিযোগ ফেরানো হল, নতুন মেডিক্যাল রিপোর্ট পাওয়ার পরেই এই অভিযোগ ফেরানো হয়েছে বলে রাঁচির এক আধিকারিক জানিয়েছেন। একটি জাতীয় স্তরের টেলিভিশন চ্যানেলে দেখা গিয়েছিল, চুরির অভিযোগে তবরেজ আনসারিকে একটি খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রড দিয়ে মারা হচ্ছে, এবং “জয় শ্রীরাম” বলতে জোর করা হচ্ছে। ওই আধিকারিক জানান, নতুন মেডিক্যাল রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে, বুধবার  সেরাইলকলা-খারসাওয়ান জেলায় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ, তাতে অভিযুক্ত ১১ জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন) ধারা যু্ক্ত করা হয়েছে।  বাকি দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধেও, তদন্ত শেষ করার পর খুনের অভিযোগ আনে পুলিশ।

গণহত্যা ঘটনায়, ১০ সেপ্টেম্বর, ১৩ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ বাতিল করে দেয় পুলিশ। ২৪ বছর বয়সী যুবক তবরেজ আনসারির মেডিক্যাল রিপোর্ট এবং ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্টে বলা হয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়।

ঝাড়খণ্ডের পদস্থ পুলিশ কর্তা কার্তিক এস NDTV কে বলেন, “মেডিক্যাল রিপোর্ট কোনও সমর্থনযোগ্য প্রমাণ দিতে পারেনি, সেই কারণে আমরা ফলত খুন, খুনের উদ্দ্যেশে নয়, সেই ধারা আনি”

৩০২ ধারায় মৃত্যুদণ্ডের সাজা অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং জরিমান, ৩০৪ ধারায় শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা ১০ বছরের কারাদণ্ড অথবা জরিমানা, অথবা উভয়ই।

সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে খুনের ধারা নিয়ে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেন,, যেহেতু আগে মেডিক্যাল রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, তবরেজ আনসারির হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু পরিষ্কার নয়, পরে পুলিশ দ্বিতীয়বার এমজেএম মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল থেকে অন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়।

চিকিৎসকদের নয়া বোর্ডের রিপোর্টে বলা হয়, “প্রথমবারের ফলাফল ধরে, আমাদের মতামত, ১. হাড় ভেঙে যাওয়ায় যে গভীর আঘাত তৈরি হয়েছে, তা হয়েছে কঠিন এবং ভোঁতা কোনও বস্তুর আঘাতে। ২.  হাড় ভেঙে যাওয়া, রক্তহীন অর্গ্যান, এবং রক্তেপূর্ণ হৃদযন্ত্র, হৃদরোগের কারণ হয়েছে”।

আধিকারিকরা জানান, ভাইরলা ভিডিও-য় কোনও বিকৃতকর খুঁজে পায়নি পুলিশ।

তবরেজ আনসারিকে খুনের অভিযোগে ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

পুনেতে একজন শ্রমিক এবং ঝালাইকর্মী হিসেবে কাজ করতেন তবরেজ আনসারি, ঈদ উপলক্ষ্যে ধাদকিরি গ্রামে ফিরেছিলেন তিনি, সেই সময় ১৭ জুন তাঁকে একটি মোটর সাইকেল চুরির অভিযোগে ধরে গ্রামবাসীরা।

তাঁকে একটি খুঁটিতে বেঁধে লাঠি এবং লোহার রড দিয়ে মারধর করে উত্তেজিত জনতা। ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় এবং টেলিভিশন চ্যানেলে দেখা যায়, তাঁকে “জয় শ্রীরাম” এবং “জয় হনুমান” বলতে বাধ্য করছে নিগ্রহকারীরা।

হামলার ঘটনায় দক্ষিণপন্থী কোনও হিন্দু সংগঠনের যোগসূত্র নেই এই ঘটনায়, তবে গ্রেফতারির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিশ্বহিন্দু পরিষদের কর্মীরা।

২২ জুন টাটা মেইন হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁকে “নিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই মৃত” বলে ঘোষণা করেন, তারপরেই বিষয়টি তদন্তের জন্য সিট বা বিশেষতদন্তকারী দল গঠন করা হয়।

যে সমস্ত চিকিৎসক এবং পুলিশকর্মীকা তবরজে আনসারিকে প্রথম পরীক্ষা করেছিলেন তাঁদেরও দায়ী করে সারাইকেলা-খাঁড়োয়ার ডেপুটি কমিশনার অঞ্জনেয়ুল্লু ডোডদের নেতত্বাধীন তিন সদস্যের কমিটি। জুলাইয়ে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়, “যখন পুলিশ দেরীতে পৌঁছায়, চিকিৎসকরা হাড়ের ক্ষত ধরতে পারেননি”।

( PTI এর তথ্যো সংযোজিত হয়েছে)

.