রাজা কেন্দুয়া, ঝাড়খণ্ড:
ঝাড়খণ্ডের রাজা কেন্দুয়া গ্রামের ১৭ বছর বয়সী মেয়েটির ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ধরা পড়ল অবশেষে। ঘটনার পরেই সে বেপাত্তা হয়ে যায়। ধরা পড়ে, রাজা কেন্দুয়া গ্রাম থেকে ৬০ মাইল দূরের একটি জায়গায়। পুলিশের জালে মূল অভিযুক্ত ধরা পড়ার পর, ক্লাস এইটে পড়া মেয়েটির বাড়ি থেকে যে ১৮ জনের নামে এফআইআর করা হয়, তাদের প্রত্যেকেই আপাতত পুলিশি হেফাজতে।
ঘটনার সূত্রপাত কয়েকদিন আগে। রাঁচি থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরের ছোটো গ্রাম রাজা কেন্দুয়াতে। ১৭ বছরের কিশোরীকে মূল অভিযুক্ত ধন্নু ভুঁইয়া ধর্ষণ করার পর কিশোরীর পরিবার বিচারের আশায় যায় গ্রাম পঞ্চায়েতে। পঞ্চায়েত প্রধান, যিনি ঘটনাচক্রে একজন মহিলা, নিদান দেন- ধন্নুকে ৫০,০০০ টাকা দিতে হবে গ্রাম পঞ্চায়েতকে অথবা কিশোরীকে বিয়ে করতে হবে। এই দুটোর মধ্যে কোনও একটি প্রস্তাবে রাজি হলেই সে 'ছাড়া' পেয়ে যাবে। ধন্নু কোনও প্রস্তাবেই রাজি হয় না। সে প্রায় ৩০০-৪০০ লোক সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিল পঞ্চায়েতে। উল্টোদিকে ছিল মেয়েটি, তার মা, বাবা, বছর দুয়েকের বড়ো দিদি আর মেয়েটির ঠাকুমা। বহু অনুনয়-বিনয়েও রাজি না হওয়ার পর মেয়েটির মা কাতরকণ্ঠে জানতে চায়, তাহলে আমার মেয়েটার কী হবে? ওকে তো কেউ আর বিয়ে করবে না! ধন্নুকেই বিয়ে করতে হবে তার মেয়েকে। এই কথায় ধন্নু এবং তার সঙ্গে আসা লোকজনরা প্রবল হুমকি ও চোখরাঙানি দিয়ে মেয়েটির পরিবারের চোখের সামনেই তাকে বাইকে করে অপহরণ করে নিয়ে যায় ধন্নু ও তার লোকজন। গ্রামেরই এক প্রান্তে চারপাশে গাছগাছালি থাকা একটি নির্জন বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বাড়িসহ মেয়েটিকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেয় তারপর।
মুম্বাইতে শ্রমিকের কাজ করা ধন্নু ছ'মাস আগে কাজ ছেড়ে গ্রামে চলে আসে। মেয়েটির সঙ্গে ধন্নুর সম্পর্ক ছিল, এমনটাই বলছে গ্রামের কেউ কেউ। তা শুনে তীব্র রোষে ফেটে পড়ে মেয়েটির এক বোন- 'সব বাজে কথা! কেউ কাউকে ভালোবাসলে, এত নৃশংসভাবে কখনও মেরে ফেলতে পারে'?!
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)