২০১৮, এর ১৯ জানুয়ারি দলাই লামার ধর্মীয় বক্তৃতার পরেই বোধগয়া বিস্ফোরণ হয়।
কলকাতা: জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশে এক সন্দেহভাজন সদস্যকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। মঙ্গলবার তাকে পূর্ব বর্ধমান থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা। বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে, কাটোয়া থেকে মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা আব্দুল রহিমকে গ্রেফতার করে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। এসটিএফের এক সদস্যকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা আইএএনএস জানিয়েছে, “আব্দুল ওয়াহাব, মৌলানা ইউসুফের মতো জেএমবি নেতাদের সঙ্গে যুক্ত আব্দুল রহিম, সোমবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের ধুলিয়ান মডিউল, জেএমবির সদস্য সে”। আব্দুল ওয়াহাব এবং মৌলানা ইউসুফ ইতিমধ্যেই হেফাজতে রয়েছে। চলতি বছরের মে তে জেএমবিকে নিষিদ্ধ করে কেন্দ্রীয় সরকার।
কাটোয়া থেকে আব্দুল রহিমকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স
বোধগয়া বিস্ফোরণে তাদের যুক্ত থাকার বিষয়টি জানাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সংবাদসংস্থা আইএএনএসকে এসটিএফের এক আধিকারিক বলেন, “ধুলিয়ান মডিউলে নিয়োগের বিষয়ে যুক্ত ছিল আব্দুল রহিম, এরা বিস্ফোরণে যুক্ত এবং সরঞ্জাম দিয়ে সাহায্য করেছিল। বিস্ফোরণের পর থেকে সে পলাতক ছিল”।
২০১৮-এর ১৯ জানুয়ারি বোধগয়ায় ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তিব্বতের আধ্যাত্মিক গুরু দলাই লামা।তারপরেই কম তীব্রতার বিস্ফোরণ হয় এলাকায়। তল্লাশি অভিযান চালিয়ে দু জায়গায় না ফাটা বিস্ফোরকের সন্ধান পাওয়া যায়।
এদিনই লোকসভায়, বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদের মাদ্রাসাগুলিকে ব্যবহার করে জেএমবির মৌলবাদ ও নিয়োগ প্রক্রিয়ার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী জে কিষাণ রেড্ডি। তিনি বলেন, রাজ্যগুলিকে এ বিষয়ে তথ্য দেওয়া হয়েছিল, ফলে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়াই যেত।
২০১৩-এর জুলাইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ হয় বোধগয়ায়। জঙ্গি হামলায় আহত হন পাঁচ ব্যক্তিসহ দুজন সন্ন্যাসী।
( IANS এর তথ্য সংযোজিত হয়েছে)