মুখোশধারীদের তাণ্ডবে ৫ জানুয়ারি প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছিলেন।
হাইলাইটস
- ফি বৃদ্ধি সমস্যা মেটান হয়েছে, এখন আন্দোলনের আর কোনও যৌক্তিকতা নেই
- একথা বললেন মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী
- সবার সঙ্গে কথা বলেই হস্টেলের বর্ধিত ফি পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নেওয় হয়েছে
নয়াদিল্লি: জেএনইউ-র ফি (JNU) বৃদ্ধি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান হয়েছে। এখন আন্দোলনের কোনও যৌক্তিকতা নেই। সোমবার এ দাবি করেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিঃশঙ্ক। এই বিষয়ে মন্ত্রীর এক বিবৃতি উদ্ধৃত করে পিটিআই জানিয়েছে, মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের ওই বিবৃতিতে বলা: জেএনইউ-র সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে ফি বৃদ্ধি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। মন্ত্রকের তরফে একটা উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন শুরুতে ভূমিকা নেবে। ওই বিবৃতিতে আরও দাবি, পড়ুয়াদের তরফে বলা হয়েছিল পরিষেবা ও পরিচর্যাগত ফি বৃদ্ধি পর্যালোচনা করে দেখা হোক। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সেই ফি পড়ুয়াদের বহন করতে হবে না। ফলে আর পড়ুয়া আন্দোলনের কোনও যৌক্তিকতা নেই।
‘‘শহুরে নকশালরাই জেএনইউয়ের নাম খারাপ করছে'': এবিভিপি
মন্ত্রী বলছেন, ডিসেম্বরের ১০ আর ১১ তারিখ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, ছাত্র ও অশিক্ষক কর্মীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সচিবের দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। সেই আলোচনার সূত্র ধরে সবপক্ষ রাজি হয়েছে হস্টেলের পরিবর্তিত ফি লাগু হবে না। দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী পড়ুয়াদের ৫০ শতাংশ হস্টেল ফি মন্ত্রকই বহন করবে।
পিটিআই সূত্রে খবর সোমবার সকালে অধ্যাপক সমিতির এক প্রতিনিধি দল মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের কর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। অভিযোগ করেছিলেন, ক্যাম্পাসকে তাঁরা নিরাপদ মনে করছেন না । ৫ জানুয়ারির ঘটনার পর যাঁরা ক্যাম্পাস ছেড়েছিলেন তাঁরাও ফিরে আসতে ভয় পাচ্ছে। এই পরিবেশ পঠন-পাঠনের উপযুক্ত না।
এদিকে দিল্লি পুলিশ এদিন ওই হিংসার ঘটনার সূত্র ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক পড়ুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করে. ছিলেন ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষও।
PTI থেকে সংগৃহীত