দিল্লির জওহরলাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক "পরিস্থিতি" নিয়ে (JNU Violence) উদ্বিগ্ন গোটা দেশ, উদ্বিগ্ন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরাও। জেএনইউ হামলার বিরুদ্ধে অভিনব প্রতিবাদ দেখালেন জেএনইউর (JNU) অধ্যাপক সিপি চন্দ্রশেখর,অর্থনৈতিক তথ্য পর্যালোচনার সরকারি প্যানেল থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি (CP Chandrasekhar)। "আমি অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, বর্তমানে জেএনইউয়ের যা পরিস্থিতি, তা দেখে শুনে আমি আগামিকালের সভায় যোগ দিতে পারব না ..., আমি আরও অনুভব করছি যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে এই কমিটির পক্ষে সাম্প্রতিক সময়ে ক্ষুণ্ণ হওয়া পরিসংখ্যান ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই", বলেন ওই অধ্যাপক (JNU Professor)। পাশাপাশি জেএনইউয়ের অর্থনৈতিক স্টাডিজ ও পরিকল্পনা কেন্দ্রের অধ্যাপক সিপি চন্দ্রশেখর ওই কমিটি থেকে নিজের নাম প্রত্যাহারের কথা বলে ইস্তফাপত্রও পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে।
"আমি পরিসংখ্যান ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করা আমার অসংখ্য সহকর্মীকে তাঁদের নিরলস প্রচেষ্টার জন্য তারিফ করতে চাই, এর আগে আমি একটি শক্তিশালী এবং বিশ্বাসযোগ্য পরিসংখ্যান ভিত্তি তৈরির বিষয়ে কাজ করেছি এবং অত্যন্ত সমৃদ্ধ হয়েছি", বলেন তিনি ।
"গেটওয়ে দখল করুন": জেএনইউয়ের পাশে দাঁড়ালেন মুম্বইয়ের পড়ুয়ারা
"এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে বর্তমানে রাজনৈতিক চাপের কাছে এখন যে কোনও স্বশাসিত সংস্থার স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হচ্ছে এবং সুসংহতভাবে চলা একটি প্রতিষ্ঠানের একতা নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আমি এই কমিটিতে কাজ করতে পারব না", নিজের ইস্তফাপত্রে এই অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, "... সবচেয়ে বিরক্তিকর ব্যাপার হচ্ছে দেশবিরোধী নানা ঘটনা ঘটিয়ে তাকেই সত্য হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।"
ভাংচুর চালানোর অভিযোগে উলটে JNU ছাত্রনেতা ঐশী ঘোষের বিরুদ্ধে এফআইআর দিল্লি পুলিশের!
রবিবার জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে লাঠি ও লোহার রড নিয়ে হামলা চালায় ৫০ জন মুখোশধারী, হামলা চালানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসেও। অভিযোগ ওই মুখোশধারীরা সেখানে প্রবেশ করে পড়ুয়াদের মারধর করে। ঘটনায় কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। এই ঘটনার দুদিন পরে প্রতিবাদ হিসাবেই অর্থনৈতিক তথ্য পর্যালোচনার সরকারি প্যানেল থেকে নিজের ইস্তফাপত্র দিলেন জেএনইউয়ের ওই অধ্যাপক বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি ইস্তফাপত্রে যেভাবে রাজনৈতিক চাপের কথা উল্লেখ করেছেন ওই অধ্যাপক তাতে অর্থনীতি, কর্মসংস্থান এবং ভোক্তা বিষয়ক নানা পরিসংখ্যান তৈরির ক্ষেত্রেও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের বিতর্ককেও যে উস্কে দিল তা বলাই যায়।