This Article is From Nov 13, 2019

ছাত্র বিক্ষোভের মাঝেই হোস্টেল ফি-এর “বড় অংশ” প্রত্যাহার করল জেএনইউ

এক আধিকারিক জানান, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের আর্থিক সহায়তার জন্য একটি প্রকল্প চালু করার প্রস্তাব দিয়েছে জেএনইউ কর্তৃপক্ষ

JNU protest: শিক্ষাসচিব এস সুব্রহ্মণ্যম ট্যুইটে লেখেন, ক্লাসে ফিরে যাওয়ার সময় হয়েছে (ফাইল)

নয়াদিল্লি:

জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jawaharlal Nehru University) পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মধ্যেই, সেখানকার শীর্ষ কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিল, তাদের হোস্টের ফি- থেকে একটা বড় অংশ ফিরিয়ে নেওয়া বা কমিয়ে দেওয়া হবে। বুধবার এমনটাই জানিয়েছেন মানব সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রকের এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক। ওই আধিকারিক জানান, এক আধিকারিক জানান, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের আর্থিক সহায়তার জন্য একটি প্রকল্প চালু করার প্রস্তাব দিয়েছে জেএনইউ (JNU) কর্তৃপক্ষ। শিক্ষা সচিব এস সুব্রহ্মণ্যম ট্যুইট করে জানান, “জেএনইউ এর এক্জিকিউটিভ কমিটি ঘোষণা করেছে, হোস্টেল ফি-এর একটি বড় অংশ কমিয়ে দেওয়া হবে, এবং অন্যান্য শর্তও প্রত্যাহার করা হবে। পাশাপাশি আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের জন্যও একটি প্রকল্পের ঘোষণা করেছে। ক্লাসে ফিরে যাওয়ার সময় এসেছে”।

পড়ুয়াদের অভিযোগ, হোস্টেল ফি ব্যাপক হারে বাড়ানো হয়েছে, তারই বিরুদ্ধে তাঁরা, সোমবার বিশ্বববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে উপস্থিত ছিলেন উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু এবং মানব সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক। সেদিন তাঁদের বিক্ষোভের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেন পড়ুয়ারা।

যেখানে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল, সেই ভবন ঘেরাও করেন পড়ুয়ারা। ঘটনাস্থলে প্রায় ৬ ঘন্টা আটকে ছিলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী।

সোমবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান শখানেক পড়ুয়া। উপস্থিত হয় বিরাট পুলিশ বাহিনী, ভিড়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য এম জগদীশ কুমারে সঙ্গে বৈঠকের দাবি তোলেন পড়ুয়ারা, তাঁদের শান্ত করেন কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের আধিকারিকরা, পড়ুয়াদের উদ্বেগের বিষয়টি চিন্তাভাবনা করার আশ্বাস দেন আধিকারিকরা। জেএনইউ এর ছাত্র সংসদের নেতা ঐশি ঘোষের সঙ্গে দেখা করেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী।

কার্যকরী কমিটির বৈঠকের স্থান পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয় জেএনইউ, অন্যদিকে, উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠকের দাবিতে বুধবারও বিক্ষোভ অব্যাহত রাখেন পড়ুয়ারা।

কেন্দ্রের পদক্ষেপ এই আংশিক হস্তক্ষেপকে খারিজ করে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাচ্র সংসদের সহসভাপতি সাকেট মুন। পুরোপুরি ফিরিয়ে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানান তিনি।

.