This Article is From Jan 07, 2020

‘‘আসুন, আমরা নতুন করে শুরু করি’’ জেএনইউ উপাচার্য

অধ্যাপক ও পড়ুয়াদের উপরে হওয়া হামলাকে (JNU Attack) ‘‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ও যন্ত্রণাদায়ক’’ বলে জানালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জগদীশ এম কুমার।

‘‘আসুন, আমরা নতুন করে শুরু করি’’ জেএনইউ উপাচার্য

জেএনইউ উপাচার্য জগদীশ এম কুমার জেএনইউয়ে (JNU) অধ্যাপক ও পড়ুয়াদের উপরে হওয়া হামলার নিন্দা করলেন।

নয়াদিল্লি:

রবিবার জেএনইউয়ে (JNU) অধ্যাপক ও পড়ুয়াদের উপরে হওয়া হামলাকে (JNU Attack) ‘‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ও যন্ত্রণাদায়ক'' বলে জানালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জগদীশ এম কুমার (Vice Chancellor Jagadeesh M Kumar)। প্রসঙ্গত, রবিবার সন্ধ্যায় জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে মুখোশধারী দুষ্কৃতীর দল হাম‌লা চালায় পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের উপর। আহত হন ৩৪ জন। উপাচার্য জেএনইউ সম্পর্কে বলেন, এই প্রতিষ্ঠান বিতর্ক ও আলোচনার জন্য পরিচিত। তিনি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি যত দ্রুত সম্ভব স্বাভাবিক করে তুলতে কর্মীরা পরিশ্রম করবেন। তিনি সমস্ত পড়ুয়া ও ফ্যাকাল্টি সদস্যদের আহ্বান জানান এক নতুন সূচনার জন্য।

‘‘জেএনইউতে হামলা চালিয়েছি আমরাই'': সব দায় স্বীকার করে নিল হিন্দু রক্ষা দল

তিনি বলেন, ‘‘৫ জানুয়ারি (রবিবার) যে ঘটনা ঘটেছে তা দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের ক্যাম্পাস যে কোনও ইস্যু নিয়ে তর্ক ও আলোচনার জন্য পরিচিত। হিংসা কোনও সমাধান নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিকতা ফেরাতে প্রতিটি সুযোগকে আমরা কাজে লাগাব।''

গত রবিবার অন্তত ৫০ জন মুখোশধারী দুর্বৃত্ত জেএনইউ চত্বরে প্রবেশ করে অস্ত্রশস্ত্র ও পাথর সঙ্গে নিয়ে। তারা প্রায় তিন ঘণ্টা তাণ্ডব চালায়। বহু পড়ুয়া ও অধ্যাপক আহত হন। ছাত্র সংগঠনের সভাপতি ঐশী ঘোষের মাথা ফেটে যায়।

বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি ও বাম ছাত্র সংগঠনগুলি রবিবারের হামলার জন্য পরস্পররের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে।

রবিবারের ঘটনার নিন্দা করে উপাচার্য বলেন, ‘‘গুন্ডামি আইনের বিরুদ্ধে। শনিবার সার্ভারকে অকেজো করে দেওয়া থেকে হিংসার সূত্রপাত। আমরা ছাত্রনেতাদের সঙ্গে বারে বারে সাক্ষাৎ করেছি। তাদের যুক্তি সহকারে বোঝাতে চেষ্টা করেছি।''

রবিবারের হামলার সময় ও পরে দিল্লি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। মঙ্গলবার তারা ঐশী ঘোষের বিরুদ্ধে দু'টি এফআইআর দায়ের করে। তাঁর বিরুদ্ধে শনিবার সার্ভার রুমে ভাঙচুর করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

তবে রবিবারের হামলার প্রেক্ষিতেও একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ওই এফআইআরে বহু অভিযোগ যুক্ত করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করেনি দিল্লি পুলিশ। 

.