গত রবিবার সন্ধ্যায় জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে মুখোশধারী দুষ্কৃতীরা ঢুকে পড়ে হামলা চালায়।
নয়াদিল্লি: শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্টে (Delhi Highcourt) একটি পিটিশন দায়ের করলেন জেএনইউয়ের (JNU) তিন অধ্যাপক। তাঁদের দাবি, জেএনইউয়ে হওয়া হামলার (JNU Attack) প্রমাণ সংরক্ষণ। এর মধ্যে সিসিটিভি ফুটেজের পাশাপাশি জেএনইউ চত্বরে ৫ জানুয়ারির হামলা সংক্রান্ত হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ ও প্রাসঙ্গিক তথ্যও রয়েছে। সম্ভবত সোমবার এই সংক্রান্ত শুনানি হবে। যে তিন অধ্যাপক পিটিশন জমা দিয়েছেন তাঁদের নাম অমিত পরমেশ্বরণ, শুক্লা সাওয়ান্ত ও অতুল সুদ। তাঁরা এবিষয়ে দিল্লি সরকার ও দিল্লি পুলিশের প্রয়োজনীয় নির্দেশের জন্যও আবেদন করেন। ‘ইউনিটি এগেইনস্ট লেফট' ও ‘ফ্রেন্ডস অফ আরএসএস' এই দু'টি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে থাকা জেএনইউ হামলা সংক্রান্ত যাবতীয় মেসেজ, ছবি, ভিডিও ও ফোন নম্বর পুনরুদ্ধার করার দাবি জানান তাঁরা।
জেএনইউয়ের উপাচার্যকে তলব মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের
এই নিয়ে এই সংক্রান্ত মামলা দাঁড়াল ১৪। ১২ জন দিল্লি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের বক্তব্য জানিয়েছেন।
গত রবিবার সন্ধ্যায় জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে মুখোশধারী দুষ্কৃতীরা ঢুকে পড়ে প্রায় তিন ঘণ্টা তাণ্ডব চালায়। লোহার রড, লাঠি ইত্যাদি নিয়ে তারা মারধর করে পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের। আহত হন ৩৪ জন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
জেএনইউয়ের উপাচার্যকে তলব মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের
পাশাপাশি জেএনইউ ছাত্র সংগঠনের প্রধান ঐশী ঘোষ, যিনি সেদিন গুরুতরব জখম হন দুষ্কৃতীদের হাতে, তাঁর নামেও দু'টি মামলা দায়ের হয়েছে। ঐশী বর্তমানে এইমসে চিকিৎসাধীন। তিনি জানিয়েছেন, ২০ থেকে ৩০ জন দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ধরে লোহার রড দিয়ে মারতে থাকে। তাঁকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালিও করা হয় বলে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ঘটনার দিনের সিসিটিঊই ফুটেজ পাওয়া যায়নি। কেননা সার্ভারটি ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় ছিল।
জেএনইউয়ের যে পড়ুয়ারা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সরব হয়েছিলেন তাঁদের আক্রমণ করা হয়েছে। বহু রাজনীতিবিদ ও অভিনেতা-অভিনেত্রী এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন।