হাইলাইটস
- গত রবিবার জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা চালায় একদল মুখোশধারী
- হামলায় আহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন পড়ুয়া এবং শিক্ষক
- ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্তদের ছবি প্রকাশ করল দিল্লি পুলিশ
নয়া দিল্লি: দিল্লির জওহরলাল বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার (JNU violence) ঘটনায় নয়া মোড়। জেএনইউয়ের হস্টেলে হামলায় অভিযুক্ত হিসাবে ঐশী ঘোষ (Aishe Ghosh) ও অন্যান্যদের ছবি প্রকাশ করল দিল্লি পুলিশ। গত সপ্তাহে দিল্লির ওই নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা হয়, মুখোশ পরে জেএনইউয়ের শিক্ষক ও পড়ুয়াদের উপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। ওই ঘটনায় শুক্রবার ৯ জন সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করে কয়েকজনের ছবি প্রকাশ করেছে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। জানা গেছে, অভিযুক্তদের মধ্যে বেশিরভাগই হলেন বাম ছাত্রনেতা। গত রবিবার সন্ধ্যায় ওই নক্কারজনক হামলার (JNU Mob Attack) ঘটনার পর দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা এর নিন্দায় সরব হন। ওইদিনই জেএনইউয়ের হস্টেল বা ছাত্রাবাসের ফি বাড়ানোর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে আন্দোলন চলছিল। সেই আন্দোলনকে ঘিরে রবিবার সেখানে একটি সংঘর্ষও বাঁধে। ওই ঘটনাকে ইঙ্গিত করেই দিল্লি পুলিশের আধিকারিকরা ছাত্রনেতা চুনচুন কুমার, পঙ্কজ মিশ্র, ঐশী ঘোষ, ওয়াসকার বিজয়, সুচেতা তালুকদার, প্রিয়া রঞ্জন, দোলন সাওয়ান্ত, যোগেন্দ্র ভরদ্বাজ এবং বিকাশ প্যাটেলের নাম অভিযুক্ত হিসাবে উল্লেখ করেছেন।
JNU Attack: বহিরাগত নয়, অধিকাংশ হামলাকারীই এসেছে ভিতর থেকে, সন্দেহ পুলিশের
ঐশী ঘোষ বাম-নিয়ন্ত্রিত জেএনইউ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি এবং যোগেন্দ্র ভরদ্বাজ এবং বিকাশ প্যাটেল বিজেপির ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় ছাত্র পরিষদ বা এবিভিপি-র সদস্য বলে জানা গেছে।
ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পর দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল বা ছাত্রাবাসের বর্ধিত ফি সহ অন্যান্য ব্যয়বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন একদল ছাত্র। সেই সময়েই অনলাইন রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করতে এবং তাঁদের বিক্ষোভ তথা ধর্মঘটকে কার্যকর করতে জেএনইউয়ের সার্ভার রুমে ঢুকে হামলা চালান ঐশী ঘোষ এবং অন্য বাম ছাত্রনেতারা।
যদিও পুলিশ স্বীকার করেছে যে রবিবারের বহু সিসিটিভি ফুটেজ, ভিডিও রেকর্ডিং এবং প্রত্যক্ষদর্শীর অভাবে এই হামলার পিছনে থাকা মুখগুলিকে চিহ্নিত করতে বেশ অসুবিধাই হচ্ছিল তাঁদের।
JNU Violence: হামলার প্রমাণ সংরক্ষণের দাবিতে দিল্লি হাইকোর্টে পিটিশন তিন অধ্যাপকের
রবিবার সন্ধ্যায় জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে মুখোশধারী দুষ্কৃতীর দল হামলা চালায় পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের উপর। লোহার রড, লাঠি ইত্যাদি নিয়ে তারা চড়াও হয় সকলের উপরে। প্রায় তিন ঘণ্টা তারা তাণ্ডব চালায়। ঘটনায় আহত হন ৩৪ জন। ঘটনার পরপরই জানা যায় যে ঐশী ঘোষ ও আরও ১৯ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ।
যে রড বা লাঠি দিয়ে আক্রমণ করা হয়েছিল সেখান থেকে প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা করে দিল্লি পুলিশের তদন্তকারী দল। পাশাপাশি ডিএনএ ও অন্যান্য নমুনাও সংগ্রহ করা হয়। এফএসএলের সাহায্যে ছবি থেকে মুখোশধারীদের মুখের ছবিও বের করার প্রচেষ্টা চালায় পুলিশ ।