This Article is From Jan 06, 2020

শুধুমাত্র জেএনইউ ক্যাম্পাসেই সিসি ক্যামেরা ছিল, বলল পুলিশ

জেএনএই ক্যাম্পাসে কয়েকঘন্টা ধরে পড়ুয়া ও শিক্ষকদের ওপর হামলা চলে, উপস্থিত ছিল না পুলিশ

শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট এবং প্রশাসনিক ভবনেই সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে।

হাইলাইটস

  • শুধুমাত্র জেএনইউ ক্যাম্পাসেই সিসি ক্যামেরা ছিল, বলল পুলিশ
  • ক্যাম্পাসের আলো নেভানোর অভিযোগ খারিজ করেছে পুলিশ
  • ৫০ জনের দলটি কখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ল, তা জানা যায়নি
নয়াদিল্লি:

জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jawaharlal Nehru University) হস্টেল বা কোনও ক্যাম্পাসেই সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না, সোমবার এমনই জানাল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) । রবিবার রাতে মাস্ক পড়া দুষ্কৃতীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে হামলা চালায়, তাতে আহত হন পড়ুয়া এবং বহু শিক্ষক। শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট এবং প্রশাসনিক ভবনেই সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। এর ফলে সেই ফুটেজ দেখা বোঝা যাবে কীভাবে দুষ্কৃতীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকল এবং বেরিয়ে গেল, পড়ুয়াদের হস্টেলে ঢুকে মারধর ও সম্পত্তি নষ্ট করার দাবি যাচাই করা যাবে না। পড়ুয়া ও শিক্ষকদের হামলা থেকে বাঁচানোয় পুলিশি ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে সমালোচকরা।

যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশের পাল্টা যুক্তি, আলো বন্ধ অন্ধকার রাস্তায় তাদের কিছুই করার ছিল না। এক  আধিকারিক বলেন, “এমনকী, আমরা আসার আগেও রাস্তার আলো বন্ধ করে দেওয়া হয়”।  

রাস্তার আলোর অভাব দুষ্কৃতীদের হাত শক্ত করে, রাতের অন্ধকারে নির্বিচারে হামলা চালায় তারা। পড়ুয়া ও শিক্ষক ছাড়াও, টার্গেট করা হয় যোগেন্দ্র যাদবকেও, সন্ধ্যায় তাঁর ওপর দুবার হামলা চালানো হয়।

তবে ৫০ জনের দলটি কখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ল, তা জানা যায়নি। যদিও সন্ধ্যার দিকে, তাদের একত্রিত হতে দেখা গিয়েছে, হাতেছিল লাঠি এবং লোহার রড।

তারপরেই হামলা শুরু হয়। অধ্যাপক তুল সুদ NDTV  কে বলেন, “দলটি বড় বড় পাথর ছোঁড়ে এবং হস্টেলে ঢুকে পড়ে”। তিনি বলেন, “সেগুলি ছোটো পাথর ছিল না, সেগুলি ছিল বড় আকারের পাথর, যেগুলি আমাদের হাড় ভেঙে দিতে পারে। আমি একদিকে পড়ে যাই. এবং যখন বেরিয়ে আসি, দেখি, আমার এবং সমস্ত গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে”।

পুলিশের অনুপস্থিতিতে কয়েঘন্টা ধরে হামলা চলে।

জেএনইউ এর পড়ুয়া এবং শিক্ষকদের অভিযোগ, পুলিশকর্মী এবং বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীরা “নীরব দর্শকের” ভূমিকায় ছিল। এমনকী, দুষ্কৃতীদের ঢুকতে দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে।

পুলিশের নিষ্ক্রয়তারও অভিযোগ উঠেছে, পড়ুয়াদের অভিযোগ, পুলিশ শুধু নিরাপত্তা দিতেই ব্যর্থ হয়নি, তিন ঘন্টার তাণ্ডবের ঘটনায় কাউকে গ্রেফতারও করতে পারেনি তারা।

পুলিশ জানিয়েছে, তারা সমস্ত অভিযোগপত্র এক জায়গায় জড়ো করেছে এবং একটি এফআইআর করা হয়েছে।

পুলিশ আধিকারিক দেবেন্দ্র আর্য বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়ার স্ক্রিনশর্ট আমরা ব্যবহার করছি এবং হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছি”।

.