আহত হয়েছেন অধ্যাপিকা সুচরিতা সেনও
নয়াদিল্লি: জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jawaharlal Nehru University) হামলার ঘটনায়, যে মাপের বড় পাথর ছোঁড়া হয়েছে, তা হাড় ভেঙে দেওয়ার জন্য যথেষ্ঠ, NDTV কে জানালেন জেএনইউ এর অধ্যাপক অতুল সুদ ( Atul Sood) । রবিবার সন্ধ্যায় জেএনইউ(JNU) ক্যাম্পাসে মুখে মাস্ক পড়ে ঢুকে পড়ে জনা ৫০ এর একটি দল, এরপর, পড়ুয়া থেকে শুরু করে শিক্ষকদের ওপর হামলা চালায় তারা। তিনি বলেন, “সেগুলি ছোটো পাথর ছিল না, পাথরগুলি এতটাই বড় ছিল, যে হাড় ভেঙে যেতে পারে। আমি একপাশে পড়ে যাই, এবং যখন বেরিয়ে আসে, আমার এবং অন্যান্য সমস্ত গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে”।
মুখে মাস্ক পড়ে জেএনইউ ক্যাম্পাসে হামলা, আহত পড়ুয়া থেকে শিক্ষকরা
এদিনের ঘটনায় আহত হন জেএনইউ এর ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশি ঘোষ সহ বহু পড়ুয়া। আহত হয়েছেন অধ্যাপিকা সুচরিতা সেনও।
আহত এবং রক্তাক্ত ঐশি ঘোষকে এআইআইএমএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “মাস্ক পড়া গুণ্ডারা আমার ওপর হামলা চালিয়েছে। আমার শরীর দিয়ে রক্ত ঝড়েছে। আমায় নির্মমভাবে মারধর করা হয়েছে”।
পড়ুয়াদের অভিযোগ, ক্যাম্পাসের একাংশে হস্টেলে রয়েছে দুষ্কৃতীরা। ছাত্র সংসদের সহসভাপতি সাকেট মুন বলেন, পুলিশ “ক্যাম্পাসেই ছিল এবং নিরাপত্তারক্ষীরা কিছুই করেনি”।
জেএনইউ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের অভিযোগ, পড়ুয়াদের ওপর হামলা চালিয়েছে এবিভিপি সদস্যরা
পড়ুয়াদের অভিযোগ, ক্যাম্পাসের একাংশে হস্টেলে রয়েছে দুষ্কৃতীরা। ছাত্র সংসদের সহসভাপতি সাকেট মুন বলেন, পুলিশ “ক্যাম্পাসেই ছিল এবং নিরাপত্তারক্ষীরা কিছুই করেনি”। হামলার ঘটনার সঙ্গে এভিবিপি জড়িত বলে অভিযোগ করেছে জেএনইউ এর ছাত্র সংসদ।
এবিভিপির পাল্টা অভিযোগ, তাদের সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়েছে বাম ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা। তাদের অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে এবিভিপি জানিয়েছে, “বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই, এআইএসএ, এবং ডিএসএফ এর সদস্যরা অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সদস্যদের ওপর নির্মমভাবে হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় প্রায় ২৫ জন পড়ুয়া আহত হয়েছেনন, ১১ জন পড়ুয়ার কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছেব। হস্টেলেই বহু এবিভিপি সদস্যের ওপর হামলা চালানো হয় এবং হস্টেলে ভাঙচুর করে বামপন্থী গুণ্ডারা”।