রবিবার জেএনইউ চত্বরে দুষ্কৃতীদের হামলায় মাথা ফেটে গিয়েছে জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভাপতি ঐশী ঘোষের (Aishe Ghosh)।
নয়াদিল্লি: রবিবার জেএনইউ (JNU) চত্বরে দুষ্কৃতীদের হামলায় (JNU Attack) মাথা ফেটে গিয়েছে জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভাপতি ঐশী ঘোষের (Aishe Ghosh)। তাঁর বাবা রবিবার জানালেন, তিনি আশঙ্কিত দেশে যে পরিস্থিতির উদ্ভব গয়েছে, তাতে ভবিষ্যতে তাঁকেও মারধর করা হতে পারে। ঐশী ঘোষের মা জেএনইউয়ের উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে জানিয়েছেন, তিনি তাঁর মেয়েকে আন্দোলনের পথ থেকে সরে আসতে বলবেন না। ঐশীর বাবা জানিয়েছেন, ‘‘দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। আমরা ভীত। আমার মেয়ের উপরে হামলা হয়েছে। আগামীকাল অন্য কাউকে মারধর করা হবে। কে বলতে পারে আমাকেও হয়তো আগামীকাল মারধর করা হতে পারে।''
জেএনইউতে মুখোশ পরে হামলা: প্রায় ৪০ পড়ুয়া ও শিক্ষক আহত
ঐশীর মাথায় পাঁচটি সেলাই পড়েছে। এখনও মেয়ের সঙ্গে কথা হয়নি বাবার। তিনি জানাচ্ছেন, ‘‘মেয়ের সঙ্গে সরাসরি কথা হয়নি। অন্যরা আমাকে জানিয়েছে ওখানে হিংসার ঘটনা ঘটেছে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দীর্ঘ সময় ধরে চলেছে। ওর মাথায় পাঁচটা সেলাই পড়েছে। আমরা উদ্বিগ্ন।''
তিনি আরও বলেন, ‘‘দেখুন, ও বাম আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। সকলে সর্বত্র বাম আন্দোলনকে প্রতিহত করতে চেষ্টা করছে।''
জেএনইউতে দুষ্কৃতী হামলার পরে দেশজুড়ে প্রতিবাদে মুখর পড়ুয়ারা
ঐশীর মা দাবি জানিয়েছেন, জেএনইউয়ের উপাচার্য এম জগদীশ কুমারের পদত্যাগ করা উচিত। তিনি বলেন, ‘‘উপাচার্যের পদত্যাগ করা উচিত। উনি কিছুই করছেন না। তিনি পড়ুয়াদের সঙ্গে কোনও রকম কথাবার্তা বলেননি। অনেক ঘটনা ঘটে গিয়েছে।''
তিনি আরও বলেন, তিনি তাঁর মেয়েকে আন্দোলন থেকে সরে আসতে বলবেন না। তিনি জানান, ‘‘ওর সঙ্গে বহু ছেলেমেয়ে রয়েছে। সকলেই আহত। কেউ আরও বেশি। কেউ একটু কম। আমি ওকে কখনওই আন্দোলনের পথ থেকে সরে আসতে বলব না।''
পুরুষ ও মহিলা উভয়ই মুখোশ পরে এসে পড়ুয়াদের মারধর করতে তাকে রবিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশ করে। লাঠি ও রড দিয়ে কেবল পড়ুয়াদেরই নয়, অধ্যাপকদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঐশী ঘোষ সহ দু'জনকে চোখের উপরে লোহার রড দিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে।
রবিবারের ঘটনায় দেশজুড়ে পড়ুয়ারা গর্জে উঠেছে প্রতিবাদে।