মোরাদাবাদের এক হাসপাতালে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পরিদর্শনে আসা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হল
হাইলাইটস
- এক হাসপাতালে যোগী আদিত্যনাথের পরিদর্শনে আসা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হল
- সাংবাদিকদের ঘরে আটকে রাখার অভিযোগ
- সরব প্রিয়ঙ্কা গান্ধি বঢরা সহ বিরোধীরা
লখনউ: গত সপ্তাহের শেষে মোরাদাবাদের (Moradabad) এক হাসপাতালে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) পরিদর্শনে আসা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হল। স্থানীয় সাংবাদিকদের অভিযোগ, তাঁরা ওই ঘটনাস্থলে এলে তাঁদের একটি ঘরে আটকে রাখা হয় যাতে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে কোনও কঠিন প্রশ্ন না করতে পারেন। কংগ্রেসের প্রিয়ঙ্কা গান্ধি বঢরা সহ বিরোধী নেতানেত্রীরা সরব হয়েছেন এই ঘটনার প্রতিবাদে। জেলা শাসক অবশ্য এমন কোনও ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন। প্রিয়ঙ্কা একটি টুইট করে লেখেন, ‘‘সাংবাদিকদের বন্দি করা রাখা হচ্ছে, প্রশ্নকে চেপে দেওয়া হচ্ছে এবং সমস্যাগুলিকে বাইরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি সরকার, লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে যারা, তারা এখন জনতার প্রশ্নের সামনে অন্ধ হয়ে গেছে।''
প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত মুম্বই, জলমগ্ন রেলপথ
সংবাদ সংস্থা আইএএনএস সূত্রে জানা যাচ্ছে, সাংবাদিকদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর আসার আগে তাঁদের এমার্জেন্সি রুমে দু'ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। তাঁরা এই অভিযোগও জানিয়েছেন যে, জেলা শাসক রাকেশকুমার সিংহ শনিবার গেটের বাইরে প্রহরা বসিয়ে রেখেছিলেন যাতে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী আসার পরে বাইরে বেরিয়ে আসতে না পারেন।
সিউড়িতে বিস্ফোরণ, উড়ে গেল ক্লাবঘরের ছাদ
অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী চলে যাওয়ার আধঘণ্টা পরে রাকেশকুমার এসে দরজা খুলে দেন সাংবাদিকদের। তিনি সাংবাদিকদের জানিয়ে দেন, তাঁরা যেন জেলা হাসপাতালে না যান।
জেলা শাসক অবশ্য সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘‘এটা মোটেও ঠিক নয়। বহু সাংবাদিকই পরিদর্শনের সময় ওয়ার্ডের ভিতরে ঢুকে পড়েছিলেন। আমি কেবল তাঁদের অনুরোধ করেছিলাম, ওয়ার্ডের ভিতরে না যেতে।''
তবে এটা তিনি মেনে নিয়েছেন যে, পুলিশ চাইলে সাংবাদিকদের আটকাতে পারত। কিন্তু এমনটা করলে গোলযোগ সৃষ্টি হতে পারে এই আশঙ্কায় তারা তেমন কিছু করেনি, কারণ হাসপাতাল চত্বরে এমনিতেই যথেষ্ট ভিড় ছিল বলে তিনি জানান।