কলকাতা: পড়ুয়াদের লড়াই ও শিক্ষকদের একাংশের বিদ্রোহের কাছে নতিস্বীকার করল কর্তৃপক্ষ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে এল প্রবেশিকা পরীক্ষা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার সিদ্ধান্ত নেন, স্নাতকস্তরের ছ'টি বিষয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা ফিরিয়ে আনা হবে। যদিও, এই সিদ্ধান্তের পর উপাচার্য সুরঞ্জন দাস জানান, তিনি পদত্যাগ করবেন।
গতকাল সন্ধেবেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির বৈঠকে ঠিক হয়, স্নাতকস্তরে কলা বিভাগের ছ'টি বিষয়ের জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হবে। উচ্চমাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষার নম্বর ও প্রবেশিকা পরীক্ষার নম্বর যোগ করে মোট যত নম্বর হবে, তার ভিত্তিতেই ভর্তি নেওয়া হবে পড়ুয়াদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের প্রবেশিকা পরীক্ষা ফিরিয়ে আনা নিয়ে পাঁচদিন ধরে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনের পর এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল কর্মসমিতি।
গতকাল রাতেই অনশন তুলে নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতি জানিয়েছে, কলা বিভাগের ছ'টি বিষয়- বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, তুলনামূলক সাহিত্য, রাষ্ট্রবিজ্ঞান এবং দর্শন-এর জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হবে। প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাওয়া মোট নম্বরের 50 শতাংশ এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষায় পাওয়া মোট নম্বরের 50 শতাংশ যোগ করে মেধা তালিকা তৈরি করা হবে"।
কর্মসমিতির বিবৃতিটি সাংবাদিকদের কাছে পড়ে শোনান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। তিনি তার সঙ্গে কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত পড়ুয়া ও শিক্ষকদের সহযোগিতার অনুরোধ করেন।
প্রবেশিকা পরীক্ষার নিয়মকানুন এবং পদ্ধতি কী হবে, তা ঠিক করার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতি ডিন, কলা বিভাগ ও রেজিস্ট্রারের হাতে সঁপে দিয়েছে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)