২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর বাংলার রসগোল্লার জিআই তকমা দেওয়া হয় পশ্চিমবঙ্গকে।
পশ্চিমবঙ্গের রসগোল্লা (Rosogolla) জিআই তকমা পেয়েছে বছর দুয়েক আগে। এবার তার আন্তর্জাতিক বিপণন করার পদক্ষেপ করল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (JU)। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগ'-এর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যৌথ উদ্যোগে এই পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। রসগোল্লার আয়ুবৃদ্ধি করতেই পদক্ষেপ করা হয়েছে। খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের এক বর্ষীয়ান অধ্যাপক সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, তাঁরা বহু দিন ধরেই চেষ্টা করছেন রসগোল্লাকে দীর্ঘ সময় ঠিক রাখার প্রক্রিয়ার ব্যাপারে। এক ধরনের সিরাপের মধ্যে রসগোল্লাকে দ্রবীভূত রেখে দীর্ঘদিন রসগোল্লাকে ব্যবহারযোগ্য রাখার প্রক্রিয়ার কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের আর অ্যান্ড ডি ডিপার্টমেন্ট রসগোল্লার মেয়াদকাল বাড়ানোর ব্যাপারে সচেষ্ট। লক্ষ্য দীর্ঘ সময়, ধরা যাক ছ'মাস রসগোল্লার আয়ু যাতে রাখা যায়, সে ব্যাপারে চেষ্টা করছে তারা। কিন্তু সেটা করার প্রযুক্তি এখনও পুরোপুরি করায়ত্ত হয়নি। রাজ্য সরকারের প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন বিভাগ বলতে পারবে কবে এটিকে বাজারজাত করা সম্ভব হবে।''
তিনি আরও জানান, ওই রসগোল্লা যন্ত্রের সাহায্যে তৈরি করা হবে।
World Diabetis Day: নিশিদিন মিষ্টিহীন? মধুরেণ উদযাপন, আজ পাতে ডায়াবেটিক রসগোল্লা
রাজ্যের পশুপালন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, একবার প্রযুক্তিটি সম্পূর্ণ হলেই রাজ্য সরকার স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের সাহায্যে রসগোল্লা নির্মাণ করা শুরু করবে। সেখানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের নির্দেশ মতো ওই রসগোল্লা তৈরি হবে। ‘মাদার ডেয়ারি' ব্র্যান্ডের অধীনে ওই সামগ্রী বিক্রি শুরু হবে।
তিনি বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে প্রথম পর্যায়ে তৈরি রসগোল্লা বাজারে ছাড়া হবে না। বিশেষজ্ঞরা এটাকে নিয়ে গবেষণা করার পর এর স্বাদ ও মান নিয়ে সবুজ সঙ্কেত দিলেই আমাদের রসগোল্লা বাজারে চলে আসবে।''
তবে ঠিক কত দিন পরে সেটি বাজারজাত হবে সেটা বলা হয়নি।
২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর বাংলার রসগোল্লার জিআই তকমা দেওয়া হয় পশ্চিমবঙ্গকে। ২০১৮ সালে রাজ্য সরকার আয়োজন করে ‘রসগোল্লা মেলা'র। এবং ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর ‘মিষ্টি হাব'-এ রসগোল্লা দিবস পালিত হয়।
যাদবপুরের অধ্যাপক জানিয়েছেন, তাঁরা ‘ডায়াবেটিক রসগোল্লা' নির্মাণেরও পরিকল্পনা করছেন।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)