ভারতের ৪৭তম প্রধান বিচারপতি (Chief Justice of India) হিসেবে শপথ নিলেন শরদ অরবিন্দ বোবদে।
নয়াদিল্লি: ভারতের ৪৭তম প্রধান বিচারপতি (Chief Justice of India) হিসেবে শপথ নিলেন শরদ অরবিন্দ বোবদে (Sharad Arvind Bobde)। সম্প্রতি অযোধ্যা মামলায় ঐতিহাসিক রায় দেওয়া বিচারপতিদের বেঞ্চের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ৬৩ বছরের অরবিন্দ বোবদে রঞ্জন গগৈ অবসর নেওয়ার পর দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হলেন। নতুন প্রধান বিচারপতি বোবদে কলেজিয়ামের সম্পূর্ণ আলোচনার কথা প্রকাশ্যে আনার ব্যাপারে রক্ষণশীল মনোভাব নিয়ে চলার পক্ষপাতী। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, মানুষের জানবার কৌতূহল মেটাতে গিয়ে সুনাম বিসর্জন দেওয়া যায় না। আদালতে বিচারপতিদের বিপুল কর্মখালি ও বিচার ব্যবস্থার পরিকাঠামোর খামতি বিষয়ে তিনিও তাঁর পূর্ববর্তী রঞ্জন গগৈ-এর মতোই যৌক্তিক পথ ধরে চলতে পছন্দ করেন।
রঞ্জন গগৈ এই কর্মখালি ও পরিকাঠামোগত খামতির বিষয়ে সমস্ত রাজ্য ও সংশ্লিষ্ট হাইকোরেটকে নির্দেশ দিয়েছেন।
অযোধ্যা মামলার বিচারক সাংবিধানিক বেঞ্চের সদস্য ছিলেন নতুন প্রধান বিচারপতি শরদ বোবদে।
আগামী ১৭ মাস দেশের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব সামলাবেন তিনি। ২০২১ সালের ২৩ এপ্রিল তিনি অবসর গ্রহণ করবেন।
মহারাষ্ট্রে এক আইনজীবী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তাঁর বাবা অরবিন্দ শ্রীনিবাস বোবদে ছিলেন একজন বর্ষীয়ান আইনজীবী। বর্ষীয়ান হিসেবেই শরদ বোবদের নাম প্রধান বিচারপতির পদের জন্য বেছে নেওয়া হয়। কেন্দ্রকে এক চিঠিতে তাঁর নাম প্রস্তাব করেন পূর্ববর্তী বিচারপতি রঞ্জন গগৈ।
তাঁর নিয়োগপত্রে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এরপর আইন মন্ত্রক একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে আগামী প্রধান বিচারপতি হিসেবে তাঁর নাম প্রকাশ করে।
বিচিরপতি শরদ বোবদে ছিলেন তিন সদস্যের এক কমিটির সদস্য, যে কমিটি বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে এক যৌন নির্যাতনের মামলায় অব্যাহতি দেয়।
২০১৫ সালে তিন বিচারপতির বেঞ্চেরও সদস্য ছিলেন বিচারপতি শরদ বোবদে। ওই বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ভারতের কোনও নাগরিক আধার কার্ড ছাড়া সরকারি পরিষেবা দেওয়া হবে না।
১৯৫৬ সালের ২৪ এপ্রিল নাগপুরে জন্মগ্রহণ করেন বিচারপতি শরদ বোবদে। তিনি নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁর বিএ ও এলএলবি ডিগ্রি প্রাপ্ত করেন। ১৯৭৮ সালে তিনি মহারাষ্ট্রের বার কাউন্সিলের একজন আইনজীবী হিসেবে সংযুক্ত হন।
২০০০ সাল এর ২৯ মার্চ বম্বে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। পরে ২০১২ সালের ১৬ অক্টোবর মধ্যপ্রদেশর হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হন তিনি।
২০১৩ সালের ১২ এপ্রিল তিনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হন।