নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া
নয়া দিল্লি: কংগ্রেস (Congress) নেতৃত্বে একের পর এক বিপর্যয়, এবার লোকসভা নির্বাচনের হারের দায় নিজের কাঁধে নিয়ে রবিবার নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ( Jyotiraditya Scindia)।মুম্বই কংগ্রেসের প্রধান মিলিন্দ দেওরার ইস্তফার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইস্তফা (resignation) দেন ওই তরুণ কংগ্রেস নেতা।জানা গেছে, রাহুল গান্ধির সঙ্গে বৈঠকের পরেই মুম্বই কংগ্রেসের প্রধান পদটি থেকে ইস্তফা দেওয়ার ঘোষণা করেন মিলিন্দ দেওরা, তারপর সেই একই পথে হাঁটলেন জ্যোতিরাদিত্যও।এর আগে লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের শোচনীয় পরাজয়ের দায়ভার নিয়ে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন স্বয়ং রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi)।“জনতার রায় মেনে ও হারের দায় স্বীকার করে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে ইস্তফা দিলাম আমি,রাহুল গান্ধির হাতে আমি আমার ইস্তফা পত্র তুলে দিয়েছি”,ট্যুইট করে জানান সিন্ধিয়া।“আমাকে ওই গুরুদায়িত্ব দিয়ে ও দলের হয়ে কাজ করার সুযোগ দিয়ে রাহুল গান্ধি যেভাবে আমার প্রতি ভরসা রেখেছিলেন সেই জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানাই আমি”,ট্যুইটে একথাও লেখেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।
লোকসভা নির্বাচনের আগে, উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্ব জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধি ভদরাকে দেন রাহুল গান্ধি।কিন্তু তা সত্ত্বেও ওই রাজ্য থেকে মাত্র ১টি আসনে জেতে কংগ্রেস।সেখানে উত্তরপ্রদেশের মোট ৮০টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৬২ টি আসনে জয়লাভ করে বিজেপি।কংগ্রেসের গড় বলে পরিচিত আমেঠিতে হেরে যান রাহুল গান্ধি, স্মৃতি ইরানির কাছে রাহুলেও এই হার কংগ্রেসের কাছে বিরাট অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
গোটা দেশে সামগ্রিকভাবেও কংগ্রেসের অত্যন্ত খারাপ ফল হয়। মোট ৫৪৩ টি আসনের মধ্যে মাত্র ৫২টি আসন জেতে কংগ্রেস।আর এই ফলের পরেই গত ২৫ মে দলের হারের দায় নিজের কাঁধে নিয়ে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন রাহুল গান্ধি।
চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে, ট্যুইটারে একটি খোলা চিঠি লিখে রাহুল দলের সর্বোচ্চ পদ থেকে তাঁর ইস্তফা দেওয়ার কারণও উল্লেখ করেন।
“দলকে নতুন করে গড়ে তুলতে বেশ কিছু কঠিন পদক্ষেপ নিতে হয়েছে এবং ২০১৯ এ দলের এই বিপর্যয়ের দায় এড়াতে পারে না অনেকেই”,লেখেন তিনি।“নিজে দায় না নিয়ে শুধু অন্যদের ঘাড়ে দলের হারের দায় চাপিয়ে দলের সভাপতির পদ আঁকড়ে বসে থাকা অনৈতিক হবে” বলেও উল্লেখ করেন রাহুল গান্ধি।
তবে রাহুল গান্ধির পদত্যাগপত্র দলের কাছে গৃহীত হয়েছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।শনিবার, দিল্লিতে কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন নেতা বৈঠকে বসেন, কিন্তু দলের পরবর্তী সভাপতি কে হবেন তা এখনও চূড়ান্ত হয় নি বলেই জানিয়েছে কংগ্রেস।