দলের সরকারের বিরুদ্ধে একাধিকবার মুখ খুলেছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (ফাইল)
ভোপাল/ নয়াদিল্লি: কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার (Jyotiraditya Scindia) ট্যুইটারে তাঁর নিজের প্রোফাইল নিয়ে “গুঞ্জন ভিত্তিহীন” বলে জবাব দিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই ট্যুইটারে দলের নাম উল্লেখ নেই এই কংগ্রেস নেতার, বরং “জনসেবক এবং ক্রিকেটপ্রেমী” বলে উল্লেখ করা রয়েছে। এএনআই কে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেন, “এক মাসে আগে, ট্যুইটারে আমি নিজের প্রোফাইল পাল্টেছিল। মানুষের পরামর্শে, আমি আমার প্রোফাইল ছোটো করেছি। এই নিয়ে গুঞ্জন ভিত্তিহীন”। এর আগে, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার প্রোফাইল ছিল “প্রাক্তন সাংসদ, প্রাক্তন বিদ্যুৎমন্ত্রী, শিল্প ও বাণিজ্য রাষ্ট্রমন্ত্রী, রাষ্ট্রমন্ত্রী, যোগাযোগ, তথ্য প্রযুক্তি”। যদিও আগেরবারে কংগ্রেস উল্লেখ ছিল না, বদলানো এই প্রোফাইলকে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের ভাঙন বলেই দেখছে অনেকে।
দলের সরকারের বিরুদ্ধে একাধিকবার মুখ খুলেছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, সেখানে মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ।
দুবছর আগে, বিধানসভা নির্বাচনে মধ্যপ্রদেশে জয়লাভ করে কংগ্রেস, তবে সেখানে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদে না বসানোয় কিছুটা ক্ষুব্ধ সিন্ধিয়া রাজ পরিবারের এই সন্তান। পরে তাঁকে, লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢ়রার সঙ্গে প্রচারের দায়িত্ব দেওয়া হয়, তবে সেখানে ফল ভাল হয়নি। উত্তরপ্রদেশের ৮০টি লোকসভা আসনের মধ্যে মাত্র একটিতে জয়লাভ করেছে কংগ্রেস, এমনকী, হাতছাড়া হয়েছে রাহুল গান্ধির আমেঠি।
নিজের আসন গুনা তে পরাজিত হয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। নির্বাচনে দলের পরাজয়ের পর রাহুল গান্ধি কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলে, তিনি সাধারণ পদ থেকে ইস্তফা দেন।
মধ্যপ্রদেশে, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করার পক্ষে সওয়াল করেছেন তাঁর অনুগামিরা, তবে তার বিরোধিতা করেছেন কমল নাথ। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেও, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে রয়েছেন কমল নাথই, অন্যদিকে, দিগ্বিজয় সিং, তাঁকে নিয়ে বলা হচ্ছে, অর্জুন সিং-এর ছেলে অজয় সিং-এর পক্ষে খোদ দিগ্বিজয় সিং।