খুব খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে কংগ্রেস, বললেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া
হাইলাইটস
- রাহুল গান্ধির পদত্য়াগ অবিশ্বাস্য়: জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া
- নিজেদের নিয়ে পর্যালোচনা করা উচিত কংগ্রেসের, বলেন তিনি
- কংগ্রেস সভাপতির দৌড়ে নেই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া
ভোপাল: কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে রাহুল গান্ধির (Rahul Gandhi) ইস্তফা দেওয়ার ঘটনাকে “অবিশ্বাস্য” আখ্যা দিয়ে বৃহস্পতিবার জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (Jyotiraditya Scindia) বলেন যে নেতা প্রচীন দলটিকে পুনরুজ্জীবিত করতে সক্ষম হবে দেরি না করে ওই পদে তাঁকেই নির্বাচিত করা উচিত।“ইতিমধ্যেই সাতটি সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে,কংগ্রেসের কার্যকরী কমিটির এবার দলের নতুন সভাপতি বাছতে সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন”,বলেন সিন্ধিয়া, যিনি নিজে গত সপ্তাহে কংগ্রেসের (Congress) সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। ২০১৭ তে মা সোনিয়া গান্ধির থেকে কংগ্রেস প্রধানের দায়িত্ব নেন রাহুল গান্ধি, তবে গত লোকসভা নির্বাচনে দলের শোচনীয় পরাজয়ের দায়ভার কাঁধে নিয়ে গত ২৫ মে কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি।৫৪৩ আসনের লোকসভা নির্বাচনে মাত্র ৫২টি আসনে জয় পায় কংগ্রেস।
কলকাতায় স্পাইসজেট টেকনিশিয়ানের মৃত্যুর তদন্তে এবার বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর
সম্প্রতি ভোপালে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের প্রধান কার্যালয়ের সামনে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে দলের প্রধান করার আবেদন জানিয়ে পোস্টার পড়তে দেখা যায়।যদিও ৪৮ বছরের সিন্ধিয়া জানিয়েছেন এই দৌড়ে তিনি নেই।
জ্যোতিরাদিত্য বলেন, "বর্তমানে দল একটি সমালোচনামূলক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কংগ্রেসকে আত্মবিশ্বাস জোগানোর জন্য, আবারও জনগণের বিশ্বাস ফিরে পাওয়ার আগে নিজেকে পুনরুজ্জীবিত করা এবং পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন। আমি মনে করি সেই মুহুর্ত এসেছে।"
কর্নাটকের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক সংকট ও গোয়াতে অনেক কংগ্রেস বিধায়করা দল থেকে বিছিন্ন হয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভোপালে যান জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। গত লোকসভা নির্বাচনে নিজের কেন্দ্র থেকে হেরে যাওয়ার পর এই প্রথম সেখানে যান তিনি।
"আমি পিছনের পায়ে ভর দিয়ে ব্যাট করি না, সবসময় সামনের পায়ে ভয় দিয়েই ব্যাট করতে ভালবাসি। আমাদের জনগণের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা আছে। আমি বা অন্যরা, আমরা কেউই অস্বীকার করতে পারি না যে, নিশ্চয়ই আমাদের মধ্যে এমন কিছু ত্রুটি রয়েছে যা এই ফলাফল এনে দিয়েছে",বলেন তিনি।
সিকিমের রাস্তায় ধস, অবরুদ্ধ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক, ব্যাপক যানজটে আটকে মানুষ
দলের সত্তরোর্ধ্ব নেতাদের পরামর্শদাতার ভূমিকায় রেখে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব তরুণদের হাতে দেওয়া উচিত কিনা সে প্রশ্নের উত্তরে সিন্ধিয়া বলেন, বয়সের থেকে এক্ষেত্রে কর্মক্ষমতার উপরেও জোর দেওয়া উচিত বলে তাঁর মনে হয়।
"আমি মোদিজি নই, দেশের জনসংখ্যাকে বয়স্ক ও তরুণ প্রজন্মে বিভক্ত করব না। যেটা প্রয়োজন সেটা হল বয়সের থেকে ব্যক্তির কর্মক্ষমতার উপর জোর দেওয়া। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তনের প্রয়োজন। একটি সময় আসবে যখন আমাকেও চলে যেতে হবে, " বলেন তিনি।
কর্নাটক ও গোয়ায় কংগ্রেস দলে সঙ্কটের মধ্যেই বৃহস্পতিবার ভোপালে যান সিন্ধিয়া।ওই রাজ্যে গুণা আসন থেকে হেরে যাওয়ার পর এই প্রথম সেখানে গেলেন তিনি।মধ্যপ্রদেশেও মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ ও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মধ্যে মাঝেমধ্যেই মতবিরোধ নজরে এসেছে।
"ক্ষমতায় আসার জন্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপির রাজনীতি করে আসছে।সামনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে না পেরে পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা চালাচ্ছে তাঁরা। মধ্যপ্রদেশে গত ৬ মাস ধরেও এই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তাঁরা। কিন্তু আমি তাঁদের বলতে চাই, আমাদের সরকারের বিধায়কদের ফুঁসলে নিজেদের দলে নিয়ে যাওয়ার যে স্বপ্ন তাঁরা দেখছেন তা মুঙ্গেরি লাল কে হাসিন স্বপনে হয়েই থেকে যাবে" ।