Kamlesh Tiwari murder: রবিবার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে দেখা করে কমলেশ তিওয়ারির পরিবার
লখনউ: মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) সঙ্গে দেখা করলেন উত্তরপ্রদেশে খুন হওয়া রাজনৈতিক নেতা কমলেশ তিওয়ারির (Kamlesh Tiwari) পরিবারের লোকেরা। রবিবার বিকেলে প্রায় আধঘন্টা বৈঠক হয় তাঁদের। বৈঠকের পর সাংবাদসংস্থা এএনআইয়ের সঙ্গে কথা বলার সময়, নিহত নেতার স্ত্রী কিরণ তিওয়ারি (Kiran Tiwari) জানান, তাঁর স্বামীর হত্যার বিচার পাওয়া নিয়ে তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিরণ তিওয়ারি বলেন, “খুনীদের আমরা সর্বোচ্চ সাজার দাবি জানিয়েছি। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, যে তাদের শাস্তি হবে”। তিনি আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি বিষয়টি তদন্ত করবেন। আমি বিশ্বাস করি, তা করে বিচার সুনিশ্চিত করবেন যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর সঙ্গে কথা বলে আমার ভাল লাগল”।
নিহত নেতা কমলেশ তিওয়ারির মা কুসুম শনিবার রাজ্যের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন এবং অভিযোগ করেন, স্থানীয় এক নেতাই খুন করেছে তাঁর ছেলেকে।
খুনের নেপথ্যে রাজনৈতিক নেতার হাত থাকার অভিযোগ হিন্দু সংগঠনের নেতার মায়ের
নিহত কমলেশ তিওয়ারির মা কুসুম বলেন, “আমরা যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে দেখা করেছি, সে আবার বড় ছেলের মতো। তার সঙ্গে দেখা করার পর ভাল লাগছে। আমাদের দাবি, আমাদের ছেলের হত্যার যেন বিচার হয় এবং দোষীদের কঠোর সাজা হয়, মুখ্যমন্ত্রী আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, বিচার হবে”।
সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, নিহত নেতার পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে, তাদের অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হোক, এবং এলাকার নাম কমলেশ তিওয়ারির নামে হোক।
নিহত নেতার ছেলে সত্যম তিওয়ারিও উপস্থিত ছিলেন এদিনের বৈঠকে, এর আগে তাঁর বাবার খুনের ঘটনায় উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনে প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছিলেন এবং এনআইএ তদন্চের দাবি জানিয়েছিলেন।
শনিবার সত্যম তিওয়ারি বলেন, “আমরা এনআইএ তদন্ত চাই। আমরা কাউকে বিশ্বাস করি না। আমার বাবার নিরাপত্তারক্ষী থাকা সত্ত্বেও খুন হতে হয়েছে। তারপরেও আমরা কীভাবে প্রশাসনকে বিশ্বাস করব”?
হিন্দুত্ববাদী নেতা খুনে গ্রেফতার ৫, তবে এখনও অধরা সিসিটিভি ফুটেজের ২ সন্দেহভাজন
কমলেশ তিওয়ারির স্বশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী ছিল, তারমধ্যে দুজন বন্দুকধারী এবং স্থানীয় পুলিশের একজন গার্ড ছিলেন নিরাপত্তার দায়িত্বে। খুনের দিন, বন্দুরধারীরা অনুপস্থিত ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, গেটে সন্দেহভাজনদের আটকেছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা এবং কমলেশ তিওয়ারির থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর তাদের ঢুকতে দেওয়া হয়।
রাজ্যে অপরাধ-প্রবণ পরিবেশ তৈরির অভিযোগ তুলে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করেছেন সমাজবাদী পার্টি নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব, এই বৈঠককে “যুক্তিসঙ্গত বৈঠক” বলে মন্তব্য করেছেন তিনি, পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে বার্তা দিয়ে মনে করিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যের অন্যান্য জায়গায় স্বজন হারানোর ঘটনা ঘটেছে, সেখানেও যাওয়া উচিত মুখ্যমন্ত্রীর।
ট্যুইটারে অখিলেশ যাদব লেখেন, “রাজ্যের রাজধানীতে নিহত নেতার পরিবারের সঙ্গে বৈঠক করা যুক্তিসঙ্গত পদক্ষেপ। আশা করি, মুখ্যমন্ত্রী, এলাহাবাদ, কনৌজ, ঝাঁসি এবং মেরঠেও যাবেন, যেখানে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়া রাজ্যে অন্যান্য ভুক্তভোগী পরিবারগুলি রয়েছে”।
"মসজিদ পুনর্গঠন বিচারের পরিপন্থী": অযোধ্যা ভূমি মামলায় বলল হিন্দু পক্ষ
শুক্রবার, কমলেশ তিওয়ারির স্ত্রী কিরণ তিওয়ারি হুমকি দেন, স্বামীর খুনীদের শাস্তি না দিলে আত্মহত্যা করবেন তিনি, এবং উত্তরপ্রদেশ সরকারকে হুমকির বিষয়ে জানানো হয়েছিল, তারপরেও ব্যবস্থা নিতে পারেনি তারা।
কমলেশ তিওয়ারির খুনের ঘটনাকে, “সন্ত্রাস ছাড়াতে অনিষ্ট” বলে মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
এর আগে, উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানায়, খুনের ঘটনায় সন্দেহভাজন দুজনের পোশাকের সঙ্গে মিলে গিয়েছে, তাঁদের পাওয়া পোশাকের সঙ্গে। শহরের কাছেই নাকা হিন্দলায় কমলেশ তিওয়ারির বাড়ি সংলগ্ন এলাকার একটি হোটেল থেকে রক্তমাখা পোশাক, কয়েকটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশের অনুমান, খুনের একদিন আগে, নিজেদের আসল ঠিকানা দিয়ে হোটেল ঢুকেছিল আততায়ীরা, এবং হোটেল ছাড়ার আগে, পোশাকগুলি ফেলে দিতে তারা হোটেলে ফিরেছিল।
শনিবার রাতে, সাংবাদিকদের সামনে বিবৃতিতে রাজ্য পুলিশের ডিজি ওপি সিং বলেন, এই ঘটনার সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হয়েছে, এবং মহারাষ্ট্র ও গুজরাট সন্ত্রাস-বিরোধী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে রাজ্য পুলিশ।
ANI, PTI এর তথ্য সংযোজিত হয়েছে