This Article is From Oct 19, 2019

খুনের নেপথ্যে রাজনৈতিক নেতার হাত থাকার অভিযোগ হিন্দু সংগঠনের নেতার মায়ের

কমলেশ তিওয়ারির (Kamlesh Tiwari) ছেলে সত্যম তিওয়ারি বলেন, “আমরা এনআইএ তদন্ত চাই, আমরা কাউকে বিশ্বাস করি না”

খুনের নেপথ্যে রাজনৈতিক নেতার হাত থাকার অভিযোগ হিন্দু সংগঠনের নেতার মায়ের

Kamlesh Tiwari murder: সত্যম তিওয়ারি বলেন, ঘটনার তদন্ত করা উচিত এনআইএর

লখনউ:

জমি নিয়ে বিবাদের জেরেই খুন করা হয়েছে কমলেশ তিওয়ারিকে (Kamlesh Tiwari), এমনটাই দাবি করলেন উত্তরপ্রদেশে খুন হওয়া রাজনৈতিক নেতার মা। নিহত কমলেশ তিওয়ারির ছেলে সত্যম তিওয়ারি জানিয়েছেন, তিনি “কাউকে বিশ্বাস” করেন না এবং ঘটনায় সন্ত্রাস বিরোধী বা এনআইএ তদন্তের দাবি করেছেন সত্যম তিওয়ারি। বাড়ির বাইরে, সাংবাদিকদের, নিহত কমলেশ তিওয়ারির মা কুসুম সাংবাদিকদের বলেন, “আমি কী ভাবছি, কেউ জিজ্ঞাসা করেনি, কাকে আমি সন্দেহ করছি। সে (স্থানীয় রাজনীতিক) আমার ছেলেকে খুন করেছে। সে এখজন জমি মাফিয়া। একটি মন্দিরের জায়গা নিয়ে আমাদের বিবাদ ছিল”।

কমলেশ তিওয়ারি মা কুসুমের মন্তব্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে কোনও উত্তর দিতে চাননি উত্তরপ্রদেশের পুলিশ প্রধান ওপি সিং।

শুক্রবার লখনউর বাড়িতে খুন হন উত্তরপ্রদেশের একটি রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা কমলেশ  তিওয়ারি (Kamlesh Tiwari)। শনিবার  সংবাদদসংস্থা এএনআইকে  হিন্দু সমাজ পার্টির (Hindu Samaj Party) নেতার ছেলে সত্যম তিওয়ারি বলেন, “আমরা এই ঘটনার তদন্তে এনআইএ তদন্ত চাই। আমরা অন্য  কাউকে বিশ্বাস করি না। নিরাপত্তারক্ষী থাকা সত্ত্বেও আমার বাবাকে খুন করা হয়েছে। তারপরে আমরা কীভাবে প্রশাসনকে বিশ্বাস করতে পারি”? গুলি করে এবং গলা কেটে খুন করা হয় হিন্দু সমাজ পার্টি নেতা কমলেশ তিওয়ারিকে। স্বশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী ছিল কমলেশ তিওয়ারির,দুজন বন্দুকধারী এবং স্থানীয় থানার একজন গার্ড। 

তাঁর খুনের দিন, বন্দুকধারীরা অনুপস্থিত ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, গেটে সন্দেহভাজনদের আটকান নিরাপত্তারক্ষীরা, কমেলেশ তিওয়ারির থেকে অনুমতি পাওয়ার পরেই, তাদের ঢুকতে দেওয়া হয়।

সত্যম তিওয়ারি বলেন, “আমি জানিনা, আমার বাবার খুনীরা গ্রেফতার হয়েছে কিনা, বা কেউ এটা করেছে এবং নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হচ্ছে কিনা। যদি তারা প্রকৃত দোষী হয়, এবং পুলিশের কাছে ভিডিও ফুটেজের প্রমাণ থাকে, তাহলে তদন্তের দায়িত্ব নেওয়া উচিত এনআইএ-এর। যদি তারা তদন্ত করে, এবং এই গ্রেফতারি প্রমাণ হয়, তাহলে আমরা সন্তুষ্ট। এই  প্রশাসনের ওপর আমাদের ভরসা নেই”।

g82thlvo

লখনউ-এর বাড়িতে খুন হন কমলেশ  তিওয়ারি

শনিবার পদস্থ পুলিশকর্তা ওপি সিং জানান, কমলেশ তিওয়ারির খুনের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুই রাজ্যের যৌথ অভিযানে গুজরাট থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি দুজন পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের বিজনৌরের মুসলিম ধর্মগুরু। কমলেশ তিওয়ারির স্ত্রীর দায়ের করা এফআইআরে তাদের নাম ছিল। এই হামলার সঙ্গে যুক্ত আরও দুই অভিযুক্ত পলাতক বলে মনে করা হচ্ছে”।

গুজরাট থেকে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের নাম মৌলানা মহসিন শেখ, রশিদ আহমেদ পাঠান, ফইজান। সংবাদসংস্থা এএনআই মারফৎ জানা গিয়েছে, ধর্মগুরুরা হলেন, মৌলানা আনওয়ার-উল হক এবং মুফতি নইম কাজমিন।

হিন্দুত্ববাদী নেতা খুনে গ্রেফতার ৫, তবে এখনও অধরা সিসিটিভি ফুটেজের ২ সন্দেহভাজন

পুলিশের অনুমান, ঘটনার মূলচক্রী রশিদ পাঠান, অন্যদিকে, কমলেশ তিওয়ারির বাড়িতে ঢোকার জন্য মিস্টির প্যাকেট নিয়ে এসেছিল ফইজান। 

শনিবার এক পুলিশকর্তা বলেন, “আমরা এই ঘটনায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে সমাধান করার ব্যাপারে আমারা আশাবাদী, এবং আমরা তেমনটাই করেছি। সূত্রের ওপর ভিত্তি করে আমরা ছোটো ছোটো দল গঠন করি এবং উত্তরপ্রদেশসহ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাই। শুরু থেকেই, আমরা যথেষ্ঠ ভালভাবেই অনুমান করেছিলাম যে, এই ঘটনাটি গুজরাটের সঙ্গে যুক্ত”। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, মিস্টির প্যাকেটটি গুজরাটের সুরাটের একটি কনফেকশনারির থেকে কেনা।

ওই পুলিশ আধিকারিক বলেন, “আমরা ঘটনাস্থলে একটি মিস্টির প্যআকেট দেখতে পাই এবং আমরা আরও সূত্র পাই। আমি গুজরাটের ডিজিপির সঙ্গে কথা বলি এবং সেখানে আমাদের দল পাঠাই। আমাদের সঙ্গে গুজরাট পুলিশের ভাল সমন্বয় ছিল”। তিনি আরও বলেন, “লখনউ তে হামলায় যুক্ত বাকি আরও দুই অভিযুক্ত ...জলদি আমরা তাদের ধরার চেষ্টা করছি”।

"মসজিদ পুনর্গঠন বিচারের পরিপন্থী": অযোধ্যা ভূমি মামলায় বলল হিন্দু পক্ষ

ওপি সিং জানান, কোনওরকম জঙ্গি যোগের সূত্র খারিজ হয়ে গিয়েছে তদন্তে, এবং হত্যার পিছনে রয়েছে ২০১৫-এ মহম্মদ সম্পর্কে কমলেশ তিওয়ারির অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগ। ২০১৬-এ পুলিশ জানিয়েছিল, একজন ধর্মগুরু কমলেশ তিওয়ারির মাথার দাম দিয়েছিল ৫১ লক্ষ টাকা।

শুক্রবার, কমলেশ তিওয়ারির স্ত্রী দাবি করেন, তিনি এবং পরিবারের সঙ্গে দেখা করুন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। স্বামীর খুনের বিচার না পেলে আত্মহত্যার হুমকি দেন তিনি, খবর এএনআই সূত্রে।

এএনআই-এর তথ্য সংযোজিত হয়েছে

.