জানা গিয়েছে শাশুড়ি তাঁকে মাথায় আঘাত করেন।
হাইলাইটস
- বহু বছরের প্রথা ভেঙে শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করে ইতিহাস গড়েছিলেন তিনি
- আর এবার আহত অবস্থায় তাঁকেই হাসপাতালে যেতে হল
- গত দু’ সপ্তাহেরও বেশি সময় বাড়ির বাইরে থাকতে হয়েছিল দুর্গাকে
তিরুঅন্তপুরম: বহু বছরের প্রথা ভেঙে শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করে ইতিহাস গড়েছিলেন তিনি। আর এবার আহত অবস্থায় তাঁকেই হাসপাতালে যেতে হল! অন্য কেউ নয় সূত্র বলছে কনকা দুর্গাকে আক্রমণ করেছেন তাঁর শাশুড়ি। মন্দিরে প্রবেশের আগে এবং পরে একাধিকবার ডানপন্থী সংগঠনের হুমকির মুখে পড়েন তিনি। আর সেই ভয়ে গত দু' সপ্তাহেরও বেশি সময় বাড়ির বাইরে থাকতে হয়েছিল দুর্গাকে। এরই মাঝে মঙ্গলবার সকালে বাড়ি ফেরেন তিনি। কিন্তু তাতেও আক্রান্ত হতে হল তাঁকে। জানা গিয়েছে শাশুড়ি তাঁকে মাথায় আঘাত করেন। আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ।
বয়স পঞ্চাশের কম, কেরালার শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ গড়লেন ইতিহাস গড়লেন দুই মহিলা
কয়েকদিন আগে শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করে ইতিহাস গড়লেন কনকা এবং আম্মিনি নামে দুই মহিলা। এই মন্দিরে এতদিন ঋতুমতী মহিলাদের প্রবেশাধিকার ছিল না। সুপ্রিম কোর্ট কয়েক মাস আগে সেই রায় দেয়। এরপরই মন্দিরে প্রবেশ করেন এই দু'জন। পরে আরও কয়েকজন মহিলা প্রবেশ করেন। কেরালা জুড়ে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এরই মধ্যে আক্রান্ত হলেন কনকা। অবশ্য এ ধরনের আশঙ্কা তিনি আগেই করেছিলেন। এনডিটিভিকে তিনি বলেছিলেন, ‘প্রাণের আশঙ্কা আছে জেনেও মন্দিরে প্রবেশ করেছিলাম। কারণ সেটা আমায় করতেই হত।'
এই দুই মহিলা আয়াপ্পা ভগবানের মন্দিরে প্রবেশের পর প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন অনেকেই। কয়েকটি ধর্মীয় সংগঠন দাবি করে কেরালার বাম সরকার বহু বছরের বিশ্বাসে আঘাত হানছে। এমন কথাও শোনা যায় সরকারের তরফেই নাকি হেলিকপ্টারে করে মহিলাদের মন্দিরে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সে অভিযোগ অস্বীকার করেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু হয়েছে কনকার। চিকিৎসকরা তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন বলে জানা গিয়েছে।