সিপিআইয়ের হয়ে ভোটে দাঁড়াচ্ছেন কানহাইয়া কুমার।
পাটনা: অবশেষে নির্বাচনে লড়ার জন্য দাঁড়াচ্ছেন কানহাইয়া কুমার। দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ছাত্র বহুপ্রতীক্ষিত এই সিদ্ধান্ত নিলেন অনেক জটিলতার পরই। তিনি দাঁড়াচ্ছেন বিহারের বেগুসরাই কেন্দ্র থেকে। এই একত্রিশ বছর বয়সী নেতা আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী পক্ষের প্রার্থী হয়ে হয়ে নির্বাচনে লড়বেন বলে এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে। রাষ্ট্রীয় জনতা দল তাঁর এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আফজল গুরুর মৃত্যুর পর দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভারত-বিদ্বেষী স্লোগান তোলার অভিযোগ উঠেছিল যে ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে, তিনিই এবার সিপিআইয়ের হয়ে দাঁড়াচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। যদিও সমস্ত প্রথাগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়াই এখনও বাকি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
শুধু রাষ্ট্রীয় জনতা দলই নয়। বৃহত্তর বিরোধী জোটের কংগ্রেস, এনসিপি এবং জিতেন রাম মানঝির দলের পক্ষ থেকেও কানহাইয়া কুমারকে সমর্থন জানানো হবে বলে জানিয়েছে সূত্র।
কানহাইয়া কুমারের পরিবারও রয়েছে বিহারের বেগুসরাই জেলাতেই। তিনি এনডিটিভিকে জানান, “আমি নিজে এই লড়াইটা করতে চাই। কিন্তু জোটের নেতাদের আমার নামটি অনুমোদন করতে হবে”। তিনি নিজের শহরে এত সক্রিয় ঠিক কী কারণে, এই প্রশ্নের উত্তরে কানহাইয়া কুমার বলেন, “দেখুন, আমি গোটা দেশ জুড়েই সক্রিয়। কিন্তু বিহার ও বেগুসরাই হল আমার জন্মস্থান। তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই এর গুরুত্ব আলাদা”।
কানহাইয়া কুমারের মা কাজ করেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী হিসেবে। তাঁর বাবা বেগুসরাইয়ের বারুনি ব্লকের একজন কৃষক।
“সিপিআই সহ বিভিন্ন বামপন্থী দল চায় আগামী লোকসভা নির্বাচনে বেগুসরাই কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে লড়াই করুন কানহাইয়া কুমার। রাষ্ট্রীয় জনতা দলও চায় যে তিনি লড়ুন”, সংবাদসংস্থা পিটিআইকে এই কথা বলেন সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সত্য নারায়ণ। তিনি আরও জানান, বিহারে অন্তত ছ’টি কেন্দ্র থেকে আগামী লোকসভা নির্বাচনে লড়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সিপিআই। যদিও, সমমনোভাবাপন্ন রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে ঠিকঠাক আসনবন্টনের পরেই যে এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে, তাও জানান তিনি।