This Article is From Jan 08, 2020

‘‘জেএনইউকে শত্রু বানিয়ে সরকার ভুল করেছে’’: কানহাইয়া কুমার

সিপিআই নেতা ও প্রাক্তন ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমার বলেন, ‘‘সরকার একটা ভুল করেছে। তারা এমন এক শত্রু বেছেছে যারা বুদ্ধিমান ও অধ্যয়নশীল।''

‘‘জেএনইউকে শত্রু বানিয়ে সরকার ভুল করেছে’’: কানহাইয়া কুমার

জেএনইউয়ের প্রাক্তন ছাত্র সভাপতি কানহাইয়া কুমার।

নয়াদিল্লি:

রবিবার সন্ধ্যায় জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে হওয়া হামলার (JNU Attack) পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন পড়ুয়ারা সরব হয়েছেন। মঙ্গলবার সিপিআই(এম) নেতা সীতারাম ইয়েচুরি ও প্রাক্তন ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমার (Kanhaiya Kumar) কেন্দ্রকে এই হিংসার জন্য আক্রমণ করে বলেন, সরকার সংবিধানকে ধ্বংস করতে চাইছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের এক বৈঠকে মিলিত হয়ে সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, তিনি জানতে চান কেন জেএনইউয়ের ছাত্র সংগঠনের নেত্রী ঐশী ঘোষের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হল। সিপিআই(এম)-এর সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘‘আমরা সংবিধানকে রক্ষা করতে চাই। এবং যদি কেউ জাতীয়তা-বিরোধী থেকে থাকে, সেটা হল সরকার, যারা সংবিধানকে ধ্বংস করতে চাইছে।''

জেএনইউতে আক্রান্ত পড়ুয়াদের পাশে দীপিকা পাড়ুকন

এদিকে সিপিআই নেতা ও প্রাক্তন ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমার বলেন, ‘‘জেএনইউ এমন ইস্যুর বিরুদ্ধেও বরাবর কথা বলেছে, যেটা প্রকাশ্যেও আসেনি। সরকার একটা ভুল করেছে। তারা এমন এক শত্রু বেছেছে যারা বুদ্ধিমান ও অধ্যয়নশীল।''

তিনি আরও বলেন, ‘‘জেএনইউয়ের প্রতি ঘৃণা কেবল কোনও বিশ্ববিদ্যালয় বা আদর্শের প্রতি ঘৃণা নয়। বরং দেশ কেমন হওয়া উচিত সেই চিন্তার প্রতিও... জেএনইউয়ে কোনও মেয়ে পাঠাগার থেকে বেরিয়ে এসে একা হেঁটে যেতে পারে। এই ক্যাম্পাসে ৪০ শতাংশ পড়ুয়াই ‘আদিবাসী' বা দরিদ্র পরিবারের।''

প্রমাণ নেই, গল্প বানানো হয়েছে: এফআইআর প্রসঙ্গে পাল্টা দাবি ঐশী ঘোষের

তিনি জানান, তাঁকে ‘‘টুকরে টুকরে গ্যাং''-এর নেতা বলা হয় বলে তিনি গর্বিত। কানহাইয়া কুমার বলেন, ‘‘জেএনইউ-তে আপনি যদি থাকেন, আপনাকে বামপন্থী বলা হবে।''

প্রসঙ্গত, দক্ষিণপন্থী রাজনৈতিক দলগুলি প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করার সময় বাম ও বাম সমর্থিত দলগুলিকে ‘টুকরে টুকরে গ্যাং' বলে ডাকে।

জেএনইউয়ের আর এক প্রাক্তনী সিপিআই নেত্রী কবিতা কৃষ্ণণ ওই বৈঠকে ছিলেন। তিনিও কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেন।

রবিবার সন্ধ্যায় জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে মুখোশধারী দুষ্কৃতীর দল হাম‌লা চালায় পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের উপর। লোহার রড, লাঠি ইত্যাদি নিয়ে তারা চড়াও হয় সকলের উপরে। প্রায় তিন ঘণ্টা তারা তাণ্ডব চালায়। ঘটনায় আহত হন ৩৪ জন। পুলিশ এফআইআর দায়ের করলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। 

.