This Article is From Jan 09, 2020

“৩,০০০ কনডোম পেয়েছে, নিখোঁজ জেএনইউ পড়ুয়াকে নয়”, কটাক্ষ কানাহাইয়া কুমারের

২০১৬ সালে জেএনইউ এর পড়ুয়া নাজিব আহমেদ নিখোঁজ হন। দু বছর খোঁজাখুঁজির পর, মামলাটি বন্ধ করে দেয় সিবিআই

“৩,০০০ কনডোম পেয়েছে, নিখোঁজ জেএনইউ পড়ুয়াকে নয়”, কটাক্ষ কানাহাইয়া কুমারের

কানহাইয়া কুমার বলেন, “এখানে ভর্তি হওয়া অতটা সহজ নয়”। (ফাইল)

নয়াদিল্লি:

জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jawaharlal Nehru University) পড়ুয়াদের হেনস্থা করা এবং তাঁদের দিকে আঙুল তুললেই দেশের সমস্যা দুর হবে না, বৃহস্পতিবার এমনই মন্তব্য করলেন প্রাক্তন ছাত্র সংসদের সভাপতি কানহাইয়া কুমার (Kanhaiya Kumar), বহু বছর ধরে তাঁর প্রাক্তনীদের ডানপন্থী সংগঠনের তরফে যে সমালোচনা শুনতে হচ্ছে, তা নিয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি। সমালোচকদের এক হাত নিয়ে কানহাইয়া কুমার বলেন, “আমাদের যতটা চান, হেনস্থা করুন। আমাদের দেশদ্রোহী বলুন। তবে তাতে আপনার সন্তানের চাকরি হবে না। এতে আপনার নিরাপত্তা হবে না। এটা আপনাকে মৌলিক চাহিদা পূরণ হবে না। আমি আপনাদের হতাশা বুঝতে পারি। এখানে ভর্তি হওয়া অতটা সহজ নয়”।

রবিবার জেএনইউতে হামলার পর থেকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে মতামত প্রদান। তাঁদের টুকরে টুকরে গ্যাং ও বলা হয়েছে।

কর্নাটকের বিজেপির তরফে বলা হয়েছে, “দীর্ঘমেয়াদে, বাচ্চাদের হাতমোজা পড়ে ধরা উচিত বামপন্থা। আগাছার মতো এগুলি বেড়েছে। জেএনইউ এর টুকরে টুকরে গ্যাং কে চিহ্নিত করে এবং অশান্তির জন্য শাস্তি দেওয়ার সময় এসেছে। বামপন্থী গুণ্ডাদের ক্ষমা করা হবে না ভবিষ্যত ভারতে”।

কানহাইয়া কুমার আগে জেএনইউ এর ছাত্র সংসদের সভাপতি ছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা রয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধেও আক্রমণ শানান তিনি, তাদের বিরুদ্ধে রবিবারের ঘটনার সময় নীরবতা অবলম্বনের অভিযোগ উঠেছে। পড়ুয়াদের অভিযোগ, যখন মাস্ক পড়ে দুষ্কৃতীরা ঢোকে, সেই সময় বিশ্ববিদ্যালের গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল পুলিশ। পরে তারা দুষ্কৃতীদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করে বলে অভিযোগ। পড়ুয়াদের আরও অভিযোগ, সেই জন্যই একজনও গ্রেফতার হয়নি।

কানহাইয়া কুমার বলেন, “তারা নাজিবকে খুঁজে পায়নি, অথচ তারা ৩০০০ কনডোম পেয়ছে জেএনইউ এর ডাস্টবিনে। জানিনা তারা গুণে দেখেছে কিনা”।

২০১৬ এর ফেব্রুয়ারিতে, বিজেপি সাংসদ জ্ঞানদেব আহুজা বলেন, “আপনারা প্রতিদিন ৩,০০০ বিয়ারের ক্যান এবং বোতল, ২,০০০ দেশী মদের বোতল, ১০০০ সিগারেট প্যাকেট, ৪,০০০ বিড়ি, ৫০,০০০ হাড়ের টুকরো, চিপসের ২,০০০ প্যাকেট এবং ৩,০০০ কনডোম ও ৫০০ গর্ভপাতের ইঞ্জেকশন পাবেন”।

একমাস পর, অক্টোবরে জেএনইউ এর ছাত্র নাজিব আহমেদ নিখোঁজ হন। দুবছর খোঁজাখুঁজির পর মামলা বন্ধ করে সিবিআই।

প্রাক্তন সাংসদ ও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে কানহাইয়া কুমার বলেন, “আপনি এখটি সরকারি আবাসনে থাকতে পারেন, সরকারি গাড়ি চালাতে পারেন, সরকারের বিমানে উড়তে পারেন। অথচ জেএনইউ এর মতো সরকারি প্রতিষ্ঠান চান না। আপনি জিও ইনস্টিটিউট চান। এটা প্রতারণা। আপনার জাতীয়তাবাদী সরকার, এবং জেএনইউ এর মতো প্রতিষ্ঠান চালানো আপনার দায়িত্ব”।  

.