This Article is From Dec 27, 2019

১৪৫ দিন পরে কেন্দ্রশাসিত লাদাখের কারগিলে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করল সরকার

সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের কয়েক দশকের পুরনো ‘বিশেষ মর্যাদা’ বাতিল করে দেয় অগাস্ট মাসে এবং দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল: জম্মু ও কাশ্মীর ও লাদাখকে বিভক্ত করে দেয় এই অংশটিকে।

১৪৫ দিন পরে কেন্দ্রশাসিত লাদাখের কারগিলে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করল সরকার

কারগিল এখন কেন্দ্রশাসিত লাদাখের অংশ

কারগিল:

জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) এবং লাদাখে (Ladakh) বিধিনিষেধ আরোপ করা এবং ইন্টারনেট যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ার পর পেরিয়ে গিয়েছে ১৪৫ দিন! এতগুলো দিন পরে, লাদাখের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল (Union Territory of Ladakh) কারগিলে (Kargil) মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবস্থা ফের চালু করা হল শুক্রবার।  সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের কয়েক দশকের পুরনো ‘বিশেষ মর্যাদা' বাতিল করে দেয় অগাস্ট মাসে এবং দু'টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল: জম্মু ও কাশ্মীর ও লাদাখকে বিভক্ত করে দেয় এই অংশটিকে। এই ভাগ বাটোয়ারার চার মাসেরও বেশি সময় পরে মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ ফের চালু করা হল। কর্মকর্তারা বলেছেন, কারগিল জেলায় সম্পূর্ণ স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসার কারণেই পরিষেবাগুলি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। গত চার মাস ধরে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলেই দাবি কর্মকর্তাদের। তারা জানিয়েছেন যে স্থানীয় ধর্মীয় নেতারাদের কাছে এই পরিষেবার অপব্যবহার না করার জন্য আবেদন করা হয়েছে। ব্রডব্যান্ড সংযোগগুলি কারগিলে কার্যকরই ছিল। 

"উস্কানিমূলক বিষয়" পোস্ট করে গ্রেফতার ১২৪, ১৯ হাজার অ্যাকাউন্টে নজর

সরকার জানিয়েছিল যে এই পদক্ষেপের ফলে এই রাজ্যের মানুষ দেশের বাকি অংশের মতো একই সাংবিধানিক সুযোগ সুবিধা পাবেন এবং এই অঞ্চলে উন্নয়নের অনুপ্রেরণাও বাড়বে নিশ্চিতভাবেই।

যে কোনও পাল্টা প্রতিক্রিয়া রোধ করতে কেন্দ্র এই অঞ্চলে ব্যাপক নিরাপত্তা ও বিধিনিষেধ আরোপ করে। জম্মু কাশ্মীরের রাজনীতিবিদদের গ্রেপ্তার, পর্যটকদের সরিয়ে নেওয়া, অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা এবং ফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের মতো বেশ কিছু পদক্ষেপ করে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। কয়েকটি প্রতিরোধ আস্তে আস্তে শিথিল করা হয়েছে, তবে কাশ্মীর উপত্যকায় মোবাইল এবং ইন্টারনেট পরিষেবা এখনও মূলত বন্ধই।

নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ ঘিরে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে প্রধানমন্ত্রী মোদি

বিজেপি সরকার অনুচ্ছেদ ৩৭০ এর অধীনে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার পদক্ষেপ ঘোষণার পরেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ, তাঁর ছেলে ওমর আবদুল্লাহ এবং মেহবুবা মুফতি সহ কাশ্মীরের কয়েক শতাধিক রাজনৈতিক নেতাকে অগাস্টের পর থেকে আটক বা গৃহবন্দী করে রাখা হয়।

কঠোর জননিরাপত্তা আইন বা পিএসএর আওতায় ফারুক আবদুল্লাহকে আটক রাখার মেয়াদ তিন মাস বাড়ানো হয়েছে। পিএসএ একটি কঠোর আইন যাতে তিন থেকে ছয় মাস বিনা বিচারে আটক রাখা সম্ভব।

এই বিধিনিষেধগুলির ফলে, বিশেষত যোগাযোগ ব্যবস্থায় এই অন্তরায় জম্মু কাশ্মীরের বাসিন্দাদের অত্যন্ত হতাশায় ফেলেছে। প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলি ব্যাহত হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। গত মাসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে বলেছিলেন যে ‘স্থানীয় প্রশাসন নিশ্চিত হলে'ই ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশ এই অঞ্চলে বিধিনিষেধ নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছে।

.