This Article is From Nov 25, 2019

“আমি ভাল হয়ে যাব, বাংলার কী অবস্থা” হামলা নিয়ে বললেন জয়প্রকাশ মজুমদার

ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূলের দাবি, এটা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই আক্রান্ত জয়প্রকাশ মজুমদার

“আমি ভাল হয়ে যাব, বাংলার কী অবস্থা” হামলা নিয়ে বললেন জয়প্রকাশ মজুমদার

ঘটনাকে “গণতন্ত্রের ওপর হামলা” বলে মন্তব্য করেছেন জয়প্রকাশ মজুমদার

কলকাতা:

বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারকে হেনস্থা, মারধর এবং লাথি মেরে ঝোপে ফেলে দেওয়া হয়েছে। করিমপুর বিধানসভা (Karimpur assembly) উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদার (Jay Prakash Majumdar), এদিন সকাল ১০.৩০টা নাগাদ একটি স্কুলে ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছিলেন তিনি। তার কিছুক্ষণ আগে, একটি বুথকেন্দ্রে নিরাপত্তাকর্নীদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন জয়প্রকাশ মজুমদার। তারুরেই, তাঁকে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের বিরুদ্ধে। ইসলামপুরে সেটি শারিরীক নিগ্রহে পরিণত হয়। ঘটনাস্থলে ছিল সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা, রাস্তার ধারে গাড়ি থেকে নামার সময় তা ক্যামেরাবন্দি করা হয়। কয়েকজন ব্যক্তি হঠাৎই ছুটে যায়, তাঁদের সঙ্গে বিজেপি প্রার্থীর বচসা শুরু হয় এবং পরে ধাক্কাধাক্কি হয়।

মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে ভোট প্রচারে পুলিশ ব্যবহারের অভিযোগ তুলল বিজেপি

জয়প্রকাশ মজুমদার পড়ে গেলে, তাঁর পিছনে লাথি মারে, লুঙ্গি পড়া এক ব্যক্তি-তাঁকে ঝোপে ফেলে দেয়। হামলাকারীদের ধাওয়া করেন প্রার্থীর নিরাপত্তারক্ষীরা, তবে ধরতে পারেননি। আক্রান্ত প্রার্থী বলেন, “দু একদিনের মধ্যে আমার ক্ষত সেরে যাবে, তবে বাংলার গণতন্ত্রের ধ্বংসের কী হবে”? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং করিমপুরের আগের বিধায়ক তথা তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্রের প্রসঙ্গ টেনে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “তাঁরা হারের ভয় পাচ্ছেন, সেই কারণেই গণতন্ত্রের ওপর এই আক্রমণ। তবে তাঁরা জিতবেন না”।

তবে মহুয়া মৈত্র পাল্টা বলেছেন, জয়প্রকাশ মজুমদার জানেন, তিনি হারছেন, এবং নিজের হারের জমি তৈরি করছেন। করিমপুরের প্রাক্তন বিধায়ক তথা বর্তমান সাংসদ বলেন, “সকাল থেকে তিনি বিভিন্ন বুথে ঘুরছেন এবং অশান্তি তৈরি করছেন। তাঁর ওপর হামলার জন্য তিনিই দায়ী। এতে আমার কিছু করার নেই”।

মাঝেরহাট সেতু সময়ে অনুমোদন করুন: রেলকে আর্জি মুখ্যমন্ত্রীর

নদিয়া জেলা তৃণমূলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের শিকার জয়প্রকাশ মজুমদার।

ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বিজেপি নেতারা, করিমপুরের বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধ করেন তাঁরা। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানাতে ছুটে যান মুকুল রায়”। তিনি বলেন, “আমি কখনও দেখিনি, একজন প্রার্থীকে এভাবে চড়থাপ্পর এবং লাথি মারা হচ্ছে। হামলাকারীরা তৃণমূলের গুণ্ডা, তাদের বাইরে থেকে আনা হয়েছে”।

নির্বাচন কমিশন সিইও-এর থেকে রিপোর্ট চান, নদিয়া জেলা ও প্রশাসনিক প্রধানের গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছেন মুকুল রায়। তাঁর দাবি, “এই সমস্ত হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে। এই ধরণের ঘটনা আর কোথাও হয় না”।

আজকের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি দেখতে ক্লিক করুন: 

সোমবার রাজ্যের যে তিন কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়, তারমধ্যে রয়েছে করিমপুর কেন্দ্রটি। কালিয়াগঞ্জের বিজেপি প্রার্থী তাঁর স্ত্রীকে ভোট দিতে সাহায্য করতে গেলে অশান্তি সৃষ্টি হয়।

.